রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০৪:৪৮:৩৩

রোহিঙ্গাদের জন্য ওআইসির চলমান সম্মেলনে বিশেষ অধিবেশনের আয়োজন করেছে তুরস্ক

রোহিঙ্গাদের জন্য ওআইসির চলমান সম্মেলনে বিশেষ অধিবেশনের আয়োজন করেছে তুরস্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রোহিঙ্গাদের বিষয়ে ওআইসির চলমান সম্মেলনে একটি বিশেষ অধিবেশনের আয়োজন করেছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, রোহিঙ্গাদের সুরক্ষার জন্য আমি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। নাগরিকত্বের অধিকারসহ সব ধরনের অধিকার থেকে তারা বঞ্চিত। এই জনগোষ্ঠী অস্তিত্বের সঙ্কট, নিষ্ঠুরতা এবং উৎখাতের শিকার।

রবিবার কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় ইসলামী রাষ্ট্রগুলোর শীর্ষ সংগঠন ওআইসির প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মিয়ানমারে নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যাতে নিজেদের আবাসভূমিতে ফিরতে পারে- তা নিশ্চিত করতে মুসলিম বিশ্ব ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, হাজারে হাজারে রোহিঙ্গা সীমান্ত পার করে ঢুকে পড়ায় বাংলাদেশ এ সমস্যায় সরাসরি আক্রান্ত। বাংলাদেশ একমাত্র মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দিচ্ছে। এই সমস্যাকে এমনভাবে সমাধান করতে হবে, যাতে রোহিঙ্গারা নিজের ভূমি রাখাইনে নিরাপত্তা এবং মর্যাদার সঙ্গে ফিরে গিয়ে থাকতে পারে।

এদিকে প্রযুক্তি সম্মেলনের ফাঁকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কথা বলেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

তিনি এ সময় বাংলাদেশে আসা শরণার্থীদের মিয়ানমার সীমান্তের অংশে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি ‘সেইফ জোনে’ আশ্রয়ের ব্যবস্থার জন্য আন্তর্জাতিক বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানান।

বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন। প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের একটি জায়গায় আশ্রয় দেয়ার জন্য উপযুক্ত স্থান খুঁজছে বলে বৈঠকে এরদোগানকে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

এ সময় তুরস্কের তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিজেপ তায়িপ এরদোয়ান রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আলোচনার জন্য ফোন করায় এবং তুরস্কের ফার্স্ট লেডি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর রোহিঙ্গাদের দুর্দশা দেখতে বাংলাদেশ সফর করায় বৈঠকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি হামিদ।

রোহিঙ্গাদের বিষয়ে ওআইসির চলমান সম্মেলনে একটি বিশেষ অধিবেশনের আয়োজন করার জন্যও প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

ওআইসসির সদস্য রাষ্ট্রগুলো রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসবে বলে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন এবং কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে মিয়ানমারকে চাপ দেওয়ার আহ্বান জানান।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তার স্ত্রীর বাংলাদেশ সফরে সহযোগতিার জন্য বৈঠকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, তুরস্ক সবসময় রোহিঙ্গা জনগণের পাশে আছে। ইতোমেধ্য এক হাজার টন খাদ্য সহায়তা পাঠানো হয়েছে। আরও দশ হাজার টন ত্রাণ পাঠানো হবে। বিশ্বের অন্যান্য দেশ ও সংস্থা যাতে বাংলাদেশের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ পাঠায় সে উদ্যোগ নেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে