আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাংলাদেশের চাপে নড়েচড়ে উঠলো নয়া দিল্লি। শনিবার অপ্রত্যাশিতভাবে মিয়ানমার সরকারের ওপর শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে ও বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ঢল থামাতে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য নয়া দিল্লির ওপর চাপ সৃষ্টি করে ঢাকা।
নয়া দিল্লিতে এ জন্য ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শঙ্করের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলী। এ সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া নির্দেশনা অনুসরণ করেন তিনি।
ঢাকার এমন আহ্বানের প্রেক্ষিতে নয়া দিল্লি মিয়ানমারকে কঠোর কোনো বার্তা না দিলেও বলেছে, রাখাইন রাজ্যে ‘রেসট্রেইন্ট অ্যান্ড ম্যাচিউরিটি’ বা বিরত থাকতে ও পরিপক্বতা প্রদর্শন করতে।
বুধবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মিয়ানমার সফর করে রাখাইনে ‘উগ্রপন্থিদের সহিংসতায়’ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। কিন্তু নির্যাতিত, নিষ্পেষিত রোহিঙ্গা মুসলিমদের নামটিও উচ্চারণ করেন নি।
তাই শনিবার নয়া দিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ করে ঢাকা, যাতে তারা মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। এ খবর দিয়েছে ভারতীয় প্রধাবশালী সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের এমন যোগাযোগের পর শনিবার রাতে ভারত রাখাইন পরিস্থিতি শান্ত করার ও পরিস্থিতি পরিপক্বতার সঙ্গে মোকাবিলার আহ্বান জানায় মিয়ানমারের কাছে। এতে নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কল্যাণের বিষয়টিতে নজর রাখতে বলা হয়।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাভিশ কুমার বলেছেন, সহিংসতা বন্ধ হয়ে এসেছে। রাখাইন রাজ্যে স্বাভাবিকতা ফিরে আসছে।
এমটিনিউজ/এসএস