আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দুই সাধ্বির সম্ভ্রমহানীর অভিযোগ আলোচনায় আসেন ভারতের ধর্মগুরু বাবা রাম রহিম। এরপর সেই যে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০ বছর জেল হয়েছে তার। এখন তিনি জেলেই দিন কাটাচ্ছেন।
জেলবন্দি সেই ভন্ডগুরু নাকি জেলে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। ডায়াবেটিসের সমস্যা তো রয়েছেই এছাড়াও ডেরা সাচা সৌদা'র প্রধান জেলে বসে ছটফট করছেন। জেলে রাম রহিমকে পরীক্ষা করে একথাই জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
গত দু’সপ্তাহ ধরে রোহতকের জেলে বন্দি রয়েছেন গুরমিত রাম রহিম সিং। রাম রহিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে জেল কর্তৃপক্ষ শনিবার একদল চিকিৎসককে ডেকে পাঠান। সেই দলে ছিলেন একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞও।
সূত্রের খবর, ভন্ডবাবা ডেরা ছেড়ে জেলে ঢোকার পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। কারণ সে ‘সেক্স অ্যাডিক্ট’। জেলে বসে শারীরিক সুখ থেকে বঞ্চিত হয়েই ভন্ডবাবা ছটফট করছে। এই অবস্থায় রাম রহিমের চিকিৎসার প্রয়োজন। দেরি হলে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে বলে চিকিৎসকেরা মন্তব্য করেছেন।
এদিকে, জেলের মধ্যে বারবার নাকি অসুস্থ হয়ে পড়ছে রাম রহিম। তার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষার জন্য আসেন জেলের ডাক্তাররা। তারা জানাচ্ছেন, আসলে রাম রহিম অতিমাত্রায় শারীরিক সুখ পেতে কাতর। পরিভষায় যাকে বলা হয় নিমফোম্যানিয়াক। এদিকে জেলে এর কোনও উপায় নেই। তারই উইথড্রয়াল সিনড্রম হিসেবে রাম রহিমের শারীরিক অস্বস্তি হচ্ছে। বাবা ড্রাগে আসক্ত কিনা তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না।
নিজের দত্তক মেয়ে হানিপ্রীতের সঙ্গেও বাবার অবৈধ সম্পর্ক ছিল বলেই জানা গিয়েছে। এই অভিযোগ করেছিলেন হানিপ্রীতের সাবেক স্বামী। কার্যত তা সত্যি বলেই প্রমাণিত হয়েছে। জেলে যাওয়ার আগের মুহূর্তে হানিপ্রীতকে সঙ্গে রাখার গোঁ ধরেছিলেন বাবা।
প্রত্যাশিতভাবেই জেল কর্তৃপক্ষ তাতে রাজি হয়নি। এর মধ্যে উধাও হয়েছে হানিপ্রীত। তার নামে জারি হয়েছে লুক আউট নোটিস। এদিকে হানিপ্রীত নেপালে চলে গিয়েছে বলেও সূত্রের খবর। নেপালের থানায় থানায় তাই ঝোলানো হয়েছে হানিপ্রীতের ছবি।
এমটিনিউজ/এসএস