আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্ক রাশিয়ার কাছে থেকে অত্যাধুনিক বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপনাস্ত্র কিনছে। দু’দেশের সরকারই নিশ্চিত করেছে এ ব্যাপারে তাদের মধ্যে ৩০০ কোটি ডলারের একটি চুক্তি সই হয়েছে। নেটো সামরিক জোটের সদস্য হয়েও রাশিয়ার সাথে এই অস্ত্র কেনার বিষয়টিকে যুক্তরাষ্ট্র একবারেই ভালো চোখে দেখছে না।
ইস্তাম্বুলে বিবিসির সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, রুশ ক্ষেপণাস্ত্র কেনার ব্যাপারে তুর্কি সিদ্ধান্তকে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের একটি কঠোর সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে এর মাধ্যমে নেটোকে পরিষ্কারভাবে প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে বলে তিনি মনে করছেন।
এই রুশ ক্ষেপণাস্ত্র নেটোর অস্ত্র ব্যবস্থার সাথে কাজ করবে না, এই যুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র এগুলো না কেনার জন্য এতদিন তুরস্কের ওপর চাপ দিয়ে আসছিল। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানি তুরস্ক থেকে তাদের নিজস্ব ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সরিয়ে নিয়েছিল।
৪০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র মজুদের সিদ্ধান্ত এরদোয়ানের। আর এর অর্থমূল্য ৩০০ কোটি ডলার।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কে ফাটল দেখা দেয়ার পর থেকে তারা রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করছে। কুর্দি বিদ্রোহীদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনকে তুরস্ক ভালোভাবে দেখছে না।
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী তুর্কি নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনকে নিয়েও মার্কিন-তুর্কি সম্পর্কে তিক্ততা চলছে। তুরস্ক মনে করে গত বছরের ব্যর্থ অভ্যুত্থানের নেপথ্যে আছেন ফেতুল্লা গুলেন। প্রেসিডেন্ট এরদোগান তাকে তুরস্কে এনে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে চান। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তাকে ফেরত পাঠাতে চাইছে না।-বিবিসি
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস