বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০৭:২২:৪৭

মোদি সরকার কেন রোহিঙ্গাদের ভারতে রাখবে না, জানলে আপনিও চমকে যাবেন!

মোদি সরকার কেন রোহিঙ্গাদের ভারতে রাখবে না, জানলে আপনিও চমকে যাবেন!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাংলাদেশসহ মিয়ানমারের প্রতিবেশি দেশগুলোতে এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া। বাংলাদেশের এর সংখ্যা ৭ লাখ ছাড়ালেও ভারতে মাত্র ৪০ হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে।

ভারতের কিছু বিরোধী দল প্রকাশ্যে এদের সমর্থন করছে, আবার কেন্দ্রীয় শাসক দল বিজেপি তাদের আশ্রয় দিতে সরাসরি ‘না’ করে দিয়েছে। সেই সাথে কিছু ডানপন্তি হিন্দু সংগঠনও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার বিরুদ্ধে।

তাদের অভিযোগ, জম্মুতে ৩৭০ ধারাকে তোয়াক্কা না করে হিন্দু অধ্যুষিত জম্মুর ডেমোগ্রাফি পরিবর্তনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। বিরোধী সংগঠন গুলো রোহিঙ্গাদের পক্ষ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেছে যাতে ভারত সরকার তাদের বার্মাতে ফেরত না পাঠায় যার সুনানী রয়েছে ৫ই সেপ্টেম্বর। এর ফলে বিরোধী দলগুলোকে ‘স্বঘোষিত মানবতাবাদী’ আখ্যা দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী দলগুলো।

হিন্দুত্ববাদী শক্তিগুলোর অভিযোগ, বর্তমানে ভারতে ৪০ হাজার রোহিঙ্গা শরনার্থী রয়েছে। তারা বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কাজে লিপ্ত রয়েছে। এমনকি তারা প্রকাশ্যেই ''দার উল ইসলাম" এর জন্য সরব হয়েছে যা ভারতের ঐক্য ও অখণ্ডতার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক।

অন্যদিকে বাংলাদেশের সাথে বার্মার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকতে বসেছে যা ভবিষ্যতে দুটো দেশকে অপ্রীতিকর দিকে নিয়ে যেতে পারে। বর্তমানে বার্মাতে অবস্থিত রোহিঙ্গাদের একটা বড় অংশ বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে। তবে সারা সবাই নারী ও বয়স্ক পুরুষ। যুবকরা আসেনি। রোহিঙ্গা যুবকরা ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রতিরোধের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ভারতের ডানপন্তিদের অভিযোগ, রাতের আধারে কালো কাপড় ঢেকে রাখাইনে হিন্দুদের উপর আক্রমন শুরু করেছে রোহিঙ্গারা যাতে ভারত এই ব্যাপারে নাক গলায় এবং ভারতের সাথে বার্মার সম্পর্ক খারাপ হয়। চারটি গ্রামে আক্রমণ চালিয়ে মন্দির ভেঙেছে, হত্যা ও লুটপাট করেছে। এরকম অত্যাচারিত একটি দল বাংলাদেশের কক্সবাজারে উপস্থিত হয়েছে।

এদিকে, ‘ভারতে রোহিঙ্গাদের কোনোমতেই ঠাঁই দেয়া হবে না, তারা বেআইনি অনুপ্রবেশকারী’ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। গতকাল তিনি ওই মন্তব্য করেন।

রোহিঙ্গা শরণার্থী ইস্যুতে ভারতকে ‘ভিলেন’ বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করে এর নিন্দা করেন রিজিজু। দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এটিকে তিনি ‘সংগঠিত প্রয়াস’ বলে অভিহিত করেন।

রোহিঙ্গা বিতাড়ন ইস্যুতে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার জেইদ রা’দ আল হুসেইন ভারতের পদক্ষেপের নিন্দা করার দুই দিন পর রিজিজু ওই মন্তব্য করলেন।

মিয়ানমার লাগোয়া ভারতের মণিপুরের পাহাড়ি এলাকা দিয়ে রোহিঙ্গা মুসলিমরা যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সীমান্তে সতর্কতা জারি করাসহ সীমান্তরক্ষীদের টহলদারি বাড়ানো হয়েছে।
এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে