আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রোহিঙ্গা ইস্যুতে মোদির সরকারের কঠোর অবস্থানের কড়া সমালোচনায় আসাদউদ্দিন ওয়েসি। অল ইন্ডিয়া মজলিস-এ-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন প্রধানের বক্তব্য, যদি তসলিমা নাসরিন ভারতে থাকতে পারেন, তাহলে রোহিঙ্গারা নয় কেন?
মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সেনা অভিযানের কারণে ঘরছাড়া রোহিঙ্গারা। তাদের মধ্যে অধিকাংশই আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশ ও ভারতে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের চাপে বিপর্যস্ত। ভুক্তভোগী ভারতও। রোহিঙ্গাদের দেশে ঠাঁই না দেওয়ারই পক্ষে কেন্দ্রীয় সরকার।
এ ব্যাপারে অবশ্য দ্বিমত পোষণ করেছে জাতিসংঘ। ভারতের থেকে এরকম ব্যবহার প্রত্যাশা করেনি তারা। পালটা ভারত জানিয়েছে, উদ্বাস্তু সমস্যা নয়, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক।
যেহেতু রোহিঙ্গাদের সঙ্গে জঙ্গিদের যোগাযোগের সরাসরি অভিযোগ আছে তাই ঝুঁকি নিতে নারাজ ভারত। মূলত এই কারণেই রাখাইনে অভিযান চালায় মায়ানমার সেনা। ইতিমধ্যে আল কায়েদাও হুমকি দিয়েছে যে, রোহিঙ্গা নির্যাতনের কড়া মাশুল দিতে হবে মায়ানমারকে।
ভারত ও বাংলাদেশের মুসলমানদের রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর অরজি জানিয়েছে জঙ্গি সংগঠনটি। সুতরাং নিরাপত্তার দিক থেকে ভারত কোনও আপস করতে রাজি নয়। সুপ্রিম কোর্টকে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়েছে কেন্দ্র। ধরে নেওয়া হচ্ছে, দেশের দরজা রোহিঙ্গাদের জন্য বন্ধই করতে চলেছে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতেই মোদি সরকারকে বিঁধলেন হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েসি।
এই মুসলিম নেতার প্রশ্ন, তসলিমা নাসরিনের মতো বাংলাদেশের লেখিকা যদি ভারতে থাকতে পারেন, তাহলে রোহিঙ্গারা নয় কেন? তসলিমাকে প্রধানমন্ত্রী মোদির বোন হিসেবে উল্লেখ করে, তার পালটা প্রশ্ন, রোহিঙ্গারা প্রধানমন্ত্রীর ভাই হতে পারে না কেন?
তার দাবি, এভাবে মানবিকতার পরিচয় দিতে পারে না ভারত। সর্বস্ব হারানো রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠালে বিশ্বের কাছে ভারতের মুখ উজ্জ্বল হবে না। জাতিসংঘের কাছেও দেশের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হবে। ফলে সংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাকাপাকি সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে এই মনোভাব প্রতিবন্ধক হয়ে উঠতে পারে। এভাবে যে দেশ সুপার পাওয়ার হয়ে উঠতে পারবে না এমনটাই মত আসাদউদ্দিনের।
এমটিনিউজ/এসএস