আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২০ বছরের জন্য ভন্ডবাবা গিয়েছে রোহতক জেলে। কিন্তু তার কাণ্ডকারখানা সম্পর্কে নিত্যনতুন তথ্য সামনে এসেই চলেছে। এ বার মুখ খুললেন ডেরার আর এক সাধ্বী।
নির্যাতিতা সেই নারী জানিয়েছেন, কী ভাবে রামরহিমে লালসা থেকে বাঁচতে ঋতুমতী হওয়ার অভিনয় করতেন তারা।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সাধ্বী জানিয়েছেন, ‘রকস্টার বাবা’ প্রতিদিন রাত ১১টার সময়ে তার শয়নকক্ষে ডেকে পাঠাত যে কোনও একজন সাধ্বীকে।
ওই সাধ্বী জানান, প্রথম যেদিন তিনি বাবার রাতের বেলা ডেরায় ঢোকার ডাক পান, সেদিনই তিনি বুঝে যান বাবার আসল উদ্দেশ্য। বাবা সেই সময়ে আয়েশ করে বিছানায় শুয়ে শুয়ে উত্তেজক ছবি দেখছিল। মেয়েটিকে ঘরে ঢুকতে দেখে বাবা ইশারা করে বিছানায় বসতে বলে তাকে। তখনই চটজলদি বুদ্ধি খাটান ওই সাধ্বী।
সাধ্বী বলেন, তার পিরিয়ডস শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় তার পক্ষে রাম রহিমের কাছে আসা সম্ভব নয়। পরে তিনি দেখেন, তার মতো আরও অনেকেই ঋতুমতী হওয়ার অভিনয় করে বাবার ডাক এড়াচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, ভন্ডবাবার প্রতি রাতে সাধ্বীদের সঙ্গে বাজে ক্রিয়াকলাপকে সাঙ্কেতিক ভাবে ‘বাবার মাফি’ বলে বর্ণনা করতেন ডেরার বাসিন্দারা।
আপাতত আশ্রমের দুই সাধ্বীকে সম্ভ্রম নষ্ট করার অপরাধে ১০ বছর করে মোট ২০ বছরের জন্য জেল খাটছে ভন্ডগুরু রামরহিম। কিন্তু তার কুকর্মের নিত্যনতুন খবর প্রকাশ্যে আসার বিরাম নেই।
এমটিনিউজ/এসএস