সিরিয়ায় বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন রাশিয়ার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। রুশ বিমান বাহিনীর প্রধান এ খবর জানিয়ে বলেছে, সিরিয়ায় মোতায়েন রুশ সেনাবাহিনী ও সামরিক স্থাপনাকে রক্ষা করার লক্ষ্যে এ ব্যবস্থা বসিয়েছে মস্কো। বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
সিরিয়ায় মোতায়েন রুশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সম্ভাব্য হুমকির কথা উল্লেখ করে রাশিয়ার বিমান বাহিনীর কমান্ডার কর্নেল জেনারেল ভিক্টোর বোন্দারেভ বলেছেন, সিরিয়ায় মোতায়েন রুশ জঙ্গিবিমানগুলোকে হাইজ্যাক করে প্রতিবেশী দেশগুলোতে নিয়ে যাওয়া হতে পারে এবং সেখান থেকে এসব বিমান দিয়ে সিরিয়ার রাশিয়ান বাহিনীর ওপর হামলায় ব্যবহার করা হতে পারে। তবে ঠিক কোন মডেলের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সিরিয়ার কোন কোন এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে তা জানাননি তিনি।
জেনারেল বোন্দারেভ একটি রুশ দৈনিককে (ডেইলি কোমসোলস্কাইয়া) দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমরা সম্ভাব্য সব হুমকিকে বিবেচনায় নিয়েছি। আমরা সিরিয়ায় শুধু জঙ্গিবিমান, বোমারু বিমান ও হেলিকপ্টারই নেইনি সেইসঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও নিয়েছি যাতে যেকোনো হুমকি তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিহত করা যায়। যেমন ধরুন, সিরিয়ার কোনো প্রতিবেশী দেশ আমাদের জঙ্গিবিমানগুলোকে হাইজ্যাক করে আমাদের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করতে পারে। আমাদেরকে সে ব্যাপারেও প্রস্তুত থাকতে হবে।’
সিরিয়া সরকারের অনুরোধে সাড়া দিয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে উগ্র তাকফিরি জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। এ হামলায় এখন পর্যন্ত শত শত সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা দাবি করছেন, রাশিয়া আসলে প্রেসিডেন্ট আসাদ বিরোধী লড়াইয়ে লিপ্ত ‘মার্কিন সমর্থিত’ জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া
আমেরিকার দৃষ্টিতে সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট আসাদের বিরুদ্ধে দুই প্রজাতির সন্ত্রাসী লড়াই করছে। এদের এক প্রজাতি হচ্ছে দায়েশের মতো উগ্র যাদের বিরুদ্ধে তাদের ভাষায় হামলা করা যাবে। অন্য প্রজাতির সন্ত্রাসীরা মার্কিন মদদপুষ্ট। তাদের বিরুদ্ধে হামলা না করে বরং আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য তাদেরকে হৃষ্টপুষ্ট করতে হবে। কিন্তু রাশিয়া বলেছে, মস্কোর দৃষ্টিতে সন্ত্রাসীদের মধ্যে কোনো শ্রেণিবিন্যাস নেই। সব সন্ত্রাসীকেই নির্মূল করতে হবে।
৫ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই
�