মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১১:১৩:৫০

মহা বিপদে সু চি ও তার সেনা প্রধান, নিজেদের বাঁচাতে মিয়ানমারের নয়া কৌশল

মহা বিপদে সু চি ও তার সেনা প্রধান, নিজেদের বাঁচাতে মিয়ানমারের নয়া কৌশল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মহা বিপদে সু চি ও তার সেনা প্রধান, রোহিঙ্গা গণহত্যা-নির্যাতন ও বিতাড়নের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী কড়া সমালোচনার পর এবার নিজেদের বাঁচাতে ভিন্ন কৌশল নিচ্ছে মিয়ানমার। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছে দেশটি।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে নিউ ইয়র্কে আসিয়ান দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বিশেষ সভায় রাখাইন রাজ্যের সংকটের বিষয়টি আলোচিত হবে বলে মিয়ানমার টাইমসকে জানিয়েছেন দেশটির একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।

গত কয়েক সপ্তাহে সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমার সফরকালে স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির সঙ্গে বৈঠক করে রাখাইন সমস্যা সমাধানে আলাপ করেছেন।

নিউ ইয়র্কে আসিয়ান মন্ত্রীদের বৈঠকে মিয়ানমারের পক্ষে এ দুই সদস্য দেশের সমর্থন পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন মিয়ানমারের ওই কর্মকর্তা। আসিয়ান জোটভুক্ত দেশগুলো সদস্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলায় না, ফলে এ ক্ষেত্রে তাদের ওপর কিছু চাপিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই বলেও তাঁর ধারণা।

২৫ আগস্ট পুলিশ পোস্টে সন্ত্রাসী হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ অন্তত ১২ জন নিহত হওয়ার পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ‘সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের’ নামে উত্তর রাখাইনের রোহিঙ্গা মুসলমান অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে নির্বিচার হত্যা ও অগ্নিসংযোগ শুরু করে, যাকে জাতিসংঘ ‘জাতিগত নিধনের নিখুঁত দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করেছে।

তাদের সঙ্গে যোগ দেয় স্থানীয় রাখাইন সন্ত্রাসীরা। প্রাণ বাঁচাতে হেঁটে পাহাড়-নদী পার হয়ে রোহিঙ্গা নাগরিকরা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। তাদের সংখ্যা এরই মধ্যে চার লাখ ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে শিশু ও নারীর সংখ্যাই বেশি।

রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থীদের ব্যাপকতা বিশ্বের ভয়াবহতম শরণার্থী পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে আন্তর্জাতিক একটি সংস্থা। নিউ ইয়র্কে গতকাল থেকে শুরু হওয়া সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের নির্ধারিত আলোচ্যসূচিতে না থাকলেও মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপন করবে বাংলাদেশ।

তুরস্ক ও ইরানও এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করবে বলে এরই মধ্যে জানিয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব বিষয়টি নিয়ে আগেই সোচ্চার হয়েছেন। সর্বশেষ বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গায় সেনাবাহিনীর নির্যাতন বন্ধে অং সান সু চির সামনে শেষ একটি সুযোগ আছে, তিনি এখনই তা কাজে না লাগালে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল সু চির। রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী নিন্দা-প্রতিবাদের মধ্যে সেখানে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তাঁর বদলে জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন দেশটির উপরাষ্ট্রপতি।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে