আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জাতিসংঘে ট্রাম্পের দেওয়া প্রথম ভাষণে উত্তর কোরিয়া প্রসঙ্গই সবচেয়ে গুরুত্ব পেয়েছে। বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে আলোচিত সমস্যা শরণার্থীদের নিয়ে খুব কমই বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। শরণার্থীদের আশ্রয়দাতা দেশগুলোকে ধন্যবাদ দেন তিনি। আর আশ্রয়দাতা দেশ হিসেবে জর্ডান, লেবানন ও তুরস্কের নাম উচ্চারণ করেন তিনি। আলোচিত রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে একটি বাক্যও খরচ করেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। বক্তব্যেে কোথাও উচ্চারিত হয়নি রোহিঙ্গা শব্দটিও।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেওয়া বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, উত্তর কোরিয়াকে ধ্বংস করা ছাড়া আমাদের সামনে আর কোন পথ খোলা নেই। এসময় উত্তর কেরিয়ার একনায়ক কিম জং উনকে আবারও ‘রকেটম্যান’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
বক্তব্যের শুরুতেই বিশ্বনেতাদের সামনে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি সবসময় আমেরিকাকেই প্রথমে রাখবো এবং আমেরিকার স্বার্থ সংশ্লিষ্ঠ বিষয় গুলো নিয়েই আমি আলোচনা করবো। সব দেশেরই তাই করা উচিৎ।’
তিনি বলেন, ‘আমেরিকায় আমরা কেউই একে অন্যের উপর আমাদের জীবনধারাকে চাপিয়ে দেইনা।’ আর এই মনোভবের জন্য মার্কিন স্বার্থ রক্ষায় অন্য দেশের উপরও তিনি কিছু চাপিয়ে দিতে চাননা বলে জানান। বক্তব্যে এরপরই আসে উত্তর কোরিয়া প্রসঙ্গ। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে দোষী হিসেবে সাব্যস্থ করেন এবং এই রাষ্ট্রকে দূষিতদের দল হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
উত্তর কোরিয়াকে সমূলে ধ্বংস করে দেওয়ার উপরই ট্রাম্প মত দেন। তিনি জাতিসংঘের প্রতি আহŸান জানান যেন আরও বেশি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটিকে একঘরে করে দেওয়া হয়। দেশটিকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়ারও ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। কিমকে রকেটম্যান সম্বোধন করে বলেন, ‘পারমানবিক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তিনি আসলে আত্মঘাতী মিশনে নেমেছেন।’
বক্তব্যে আসে ইরান প্রসঙ্গও। ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালে সম্পাদিত পারমানবিক চুক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বিব্রতকর হিসেবে উল্লেখ করেন ট্রাম্প। ইরানের উপর আরও অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞারও দাবি জানান তিনি। পৃথিবীর একটি বিরাট অংশ রসাতলে যাচ্ছে বলেও তিনি মনে করেন। সিএনএন লাইভ
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস