আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বলছে, তারা রাখাইন প্রদেশে একটি গণকবর খুঁজে পেয়েছে, যেখানে শুধু হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মৃতদেহ রয়েছে। সেনাবাহিনী বলছে, তাদের ভাষায় রোহিঙ্গা মুসলমান জঙ্গিরা এইসব হিন্দুদেরকে হত্যা করেছে।
এলাকাটিতে চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকবার কারণে সেনাবাহিনীর এই অভিযোগ যাচাই করা সম্ভব হয়নি। রাখাইনে গত পঁচিশে অগাস্ট থেকে সহিংসতা শুরু হবার পর এখন পর্যন্ত চার লাখ ত্রিশ হাজারের বেশী রোহিঙ্গা মুসলমান পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে পোস্ট করা এক বিবৃতি থেকে যানা যাচ্ছে, উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন প্রদেশের একটি গ্রাম থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা একটি গণকবর খুঁড়ে মোট আটাশটি মৃতদেহ বের করে এনেছে, এদের সবাই হিন্দু ধর্মাবলম্বী, বেশীরভাগই মহিলা।
মায়ানমার সরকারের দাবি রাখাইন প্রদেশে দীর্ঘদিন ধরেই রোহিঙ্গা মুসলিম জঙ্গিদের অত্যাচারে ঘর ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন সেখানে বসবাসরত হিন্দুরা। গত ২৫ অগাস্ট এই জঙ্গিরাই রাখাইন প্রদেশের এই জঙ্গিরাই সেদেশের সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে হামলা চালায়। রবিবার রাখাইনে হিন্দুদের গণকবর উদ্ধার হলেও সেখানে পৌঁছাতে পারেননি কোনও সাংবাদিক।
গত ২৫ অগাস্ট মায়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া রাখাইন প্রদেশে পুলিশ ক্যাম্পে হামলা চালায় রোহিঙ্গা মুসলিম জঙ্গিরা। এর পর পালটা অভিযান শুরু করে মায়ানমার সেনা। এর পরই ঘরবাড়ি ছাড়তে শুরু করে রোহিঙ্গারা। এখনো পর্যন্ত ৪.৩০ লক্ষ রোহিঙ্গা মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ওই এলাকায় বসবাসকারী প্রায় ৩০,০০০ হিন্দু ও বৌদ্ধকেও ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে হয়েছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বিবিসিকে বলেছেন, নির্মম হত্যাকাণ্ড, সম্ভ্রমহানী এবং বাড়িঘর আগুনে জ্বালিয়ে দেয়ার কারণে রোহিঙ্গারা আতঙ্ক আর উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছে। রাখাইনে চলমান সহিংসতাকে 'জাতিগত নিধন' বলে বর্ণনা করেছে জাতিসংঘ। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে মিয়ানমারের সরকার।
এমটিনিউজ/এসএস