বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০৭:৫৬:৫২

হাক্কানি নেটওয়ার্কের জন্য পাকিস্তান নয়, যুক্তরাষ্ট্রই দায়ী

হাক্কানি নেটওয়ার্কের জন্য পাকিস্তান নয়, যুক্তরাষ্ট্রই দায়ী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জঙ্গি সংগঠন হাক্কানি নেটওয়ার্ক ও এ ধরনের অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনের জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করা উচিত নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা  মুহাম্মদ আসিফ।

পাকিস্তানের খাজা  মুহাম্মদ আসিফ বলেছেন, হাক্কানি নেটওয়ার্ক যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এবং একসময় তারা মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইয়ের 'প্রিয় পাত্র' ছিল।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করে, কাবুলে গত ১৩ সেপ্টেম্বর মার্কিন দূতাবাসে হামলায় এই গোষ্ঠীর হাত ছিল। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা এ গোষ্ঠীকে সহায়তা করছে বলেও মনে করে তারা।

পাকিস্তান এ অভিযোগ অস্বীকার করলেও জানিয়েছে, এখনই যুক্তরাষ্ট্রের চাহিদা অনুসারে এ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করার কোনো ইচ্ছা তাদের নেই। জাতিসংঘের ৭২ তম সাধারণ পরিষদের সভায় যোগ দেওয়ার জন্য খাজা  মুহাম্মদ আসিফ নিউ ইয়র্কে গিয়েছেন। সেখানেই এশিয়া সোসাইটি ফোরামে মঙ্গলবার তিনি এ বক্তব্য দেন।

তিনি বলেন, ‘হাক্কানিদের জন্য আমাদের দায়ী করবেন না এবং হাফিজ সাঈদের জন্যও (নিষিদ্ধ জামাতুদ দাওয়ার প্রধান) আমাকে দায়ী করবেন না। এরা ২০ থেকে ৩০ বছর আগে আপনাদের প্রিয়পাত্র ছিল। তারা হোয়াইট হাউজে খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করত। এখন আপনারা বলছেন, এদের  তোমরা জাহান্নামে যাও এদের বাড়তে দেওয়ার জন্য।

এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রই হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা বলে দাবি করেছেন পাকিস্তানের শীর্ষ পর্যায়ের রাজনীতিবিদরা।

যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানও হাক্কানি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। তিনি বলেছিলেন, আইএসের একটি নির্ভরযোগ্য শাখা হিসেবে কাজ করছে হাক্কানি নেটওয়ার্ক। এরা গত সপ্তাহে আফগানিস্তানে ন্যাটো সদর দপ্তরে ও কাবুলে মার্কিন দূতাবাসেও হামলা চালায়।

তিনি বলেন, বরং পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য হুমকি এমন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন তারা। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ অভিযানেও পাকিস্তানের আপত্তি নেই পাকিস্তানের।

এর আগে মার্কিন কর্মকর্তারা পাকিস্তানকে সন্ত্রাসীদের জন্য নিরাপদ স্থান হিসেবে তুলে ধরেছিলেন। তার প্রতিক্রিয়ায় এসব সংগঠনকে পাকিস্তান নয় বরং যুক্তরাষ্ট্রই মদদ দেয় বলে জানান পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সূত্র : ডন
এমটিনিউজ২৪ডটকম/এপি/ডিসি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে