সাইদুর রহমান : জাতিসংঘের অধীন মানবাধিকার কমিশন ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের অবৈধ বসতি স্থাপনে নিয়োজিত কোম্পানীগুলোকে কালো তালিকাভূক্তের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এ কথা জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট রিউবিন রেফলেন।
রেফলিন যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদি সংগঠনের নেতাদের সাথে ফোনে আলাপকালে রেফলিন বলেন, জাতিসংঘের অধীন মানবাধিকার কমিশনের কালো তালিকাভূক্তের বিষয়ে আমরা কঠিনভাবে উদ্বিগ্ন।
রেফলিন আরো বলেন, কালো তালিকাভূক্ত হলে আমেরিকা ও ইসরায়েলের অনেক কোম্পানী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এতে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ প্রত্যাহার হতে পারে।
রেফলিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত সকল ইহুদিকে এই আশংকা দূর করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে উৎসাহ দেন।
এদিকে ফিলিস্তিন কর্মকর্তারা বলেছেন, কালো তালিকা এখনো প্রকাশিত হয়নি। কালো তালিকায় ফিলিস্তিনি ভূখ-ে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনে নিয়োজিত কোম্পানীর নাম রয়েছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল এই কালো তালিকার তীব্র বিরোধীতা করেছে।
ইসরায়েলি দৈনিক হারতেজ বলেছে, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের হাইকমিশনার আমির যায়েদ বিন রিদ দুই সপ্তাহ পূর্বে ইসরায়েল এবং সারা বিশ্বের ১৫০ দেশের কাছে চিঠি পাঠিয়ে ছিলেন, চিঠিতে তিনি কালো তালিকাভূক্তের বিষয়ে সতর্ক করেছেন।
ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বরাতে হারেতজ আরো জানিয়েছে, এই কোম্পানীগুলো আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘের সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে ফিলিস্তিনি ভূখ-ে অবৈধ বসতি নির্মাণে কাজ করছে।
হারেতজ আরো জানিয়েছে, অবৈধ বসতি স্থাপনে নিয়োজিত কোম্পানীগুলোর মধ্যে অর্ধেক বহিরাগত। এরমধ্যে ৩০ কোম্পানী যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক, অন্যান্য কোম্পানী বিভিন্ন দেশের, যেমন- জার্মান, দক্ষিণ কোরিয়া নরওয়ে। বাকি অর্ধেক ইসরাইলের নিজস্ব কোম্পানী।
হারেতজ আরো জানিয়েছে, কালো তালিকা বাস্তবায়নের পথে। বাস্তবায়ন হলে বিপুল পরিমাণ লগ্নি প্রত্যাহার হতে পারে।-আমাদের সময়
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস