আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের কর্তৃপক্ষ দেশটির মুসলমানদের নির্দেশ দিয়েছে, তারা যেন তাদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন এবং নামাজ পড়ার ম্যাট(জায়নামাজ) ফেরত দেয় এবং সেই সাথে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, এ নির্দেশ না মানলে মুসলমানদের কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের কর্তৃপক্ষ সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলমান জনগোষ্ঠিদের বলেছে, ‘কঠিন শাস্তির’ মুখে পড়ে মুসলমানরা তাদের ধর্মীয় জিনিসপত্র ফেরত দিতে বাধ্য হবে।
একজন নির্বাসিত সংখ্যালঘু উইঘুর এসব তথ্য জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের একটি রোডিও স্টেশনকে তিনি বলেন, চীনের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অামরা এমন একটি নির্দেশ পেয়েছি যেখানে বলা হয়েছে, কোরআন, জায়নামাজসহ ইসলাম ধর্ম সম্পর্কিত যেকোনো জিনিস তাদেরকে ফেরত দিতে হবে। নাইলে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। উইঘুর ছাড়াও একই নির্দেশ সংখ্যালঘু কাজাখ ও কিরগিজ মুসলিমদের প্রতিও জারি করা হয়েছে বলে জানান এ নেতা।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ২০১৭ সালে তাদের এক প্রতিবেদনে চীন সম্পর্কে বলেছে, কমিউনিস্ট দেশটি সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর ক্রমবর্ধমান হারে হস্তক্ষেপ করে যাচ্ছে। এমনকি সংখ্যালঘুদের কোনো ধর্মীয় সমাবেশও করতে দিচ্ছে না দেশটি।
২০০৯ সালে উইঘুর মুসলিমদের সাথে অন্য আরেকটি নৃ-গোষ্ঠি হান চাইনিজদের সংঘাত হয়। এ সংঘাতে প্রাণ হারান শতাধিক মানুষ। এরপরপরই চীন এ ঘটনার জন্য ইসলামিক সন্ত্রাসবাদকে দায়ি করে। যদিও মানবাধিকার সংস্থাগুলো দাবি করেছে, চীনের নীতির কারণেই এ সংঘাতটি হয়েছিল। -প্রিয়
এমটিনিউজ২৪/এম.জে