আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আমেরিকার লাস ভেগাসে এলোপাথাড়ি গুলিতে নিহতের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়ে গেছে। এতে আহত হয়েছে শতাধিক।
পুলিশ নিশ্চিত করেছে, এক লোক এই হামলা চালিয়েছে। ওই লোক ঐ শহরেরই বাসিন্দা। তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
পুলিশ ম্যারিলু ডেনলি নামে এক নারীকে খুঁজছে। ওই নারী হামলাকারী সঙ্গে ছিলেন বলে বলা হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, অস্ত্রধারী মান্দালে বে হোটেলের ৩২-তলার একটি কামরা থেকে নিচে মিউজিক ফেস্টিভালের ওপর গুলি বর্ষণ করে।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে এই হামলার ওপর অনেক ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
সেখানে দেখা যায় শত শত মানুষ দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে।
আর গুলির যে শব্দ শোনা যায় তা থেকে ধারণা করা হয় যে সেটা একটা স্বয়ংক্রিয় বন্দুকের শব্দ ।
টিভিতে দেখানো সরাসরি ফুটেজে দেখা যায় লাস ভেগাস স্ট্রিপে ভারী অস্ত্রসহ পুলিশ অবস্থান করছিল।
স্থানীয় সময় রাত সাড়ে দশটার দিকে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
মার্সেই নগরীতে গুলি : নিহত ২
ফ্রান্সের মার্সেই শহরের প্রধান ট্রেন স্টেশনে এক ব্যক্তি ছুরি নিয়ে আক্রমণ চালালে অন্তত একজন নিহত হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী এর পরই আক্রমণকারীকে গুলি করে হত্যা করে।
বিভিন্ন খবরে বলা হচ্ছে হামলার সময় ঐ ব্যাক্তি 'আল্লাহু আকবর' বলে চিৎকার করে।
তবে কিছু খবরে বলা হয়, আক্রমণকারীকে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি করার আগে সে দু'জন লোককে হত্যা করে।
দক্ষিণ ফ্রান্সের শহর মার্সেই-এর সেন্ট চার্লস স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ স্থানীয় লোকদের ওই এলাকাটি এড়িয়ে চলার নির্দেশ দিয়েছে। স্টেশনে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরার্ড কোলোম্ব বলেছেন তিনি ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন
রুশ বিমান হামলায় ১১ দিনে নিহত ২৩০০
গত ১১ দিনে সিরিয়ায় রুশ বিমান হামলায় ২ হাজার ৩০০ চরমপন্থী নিহত ও ২ হাজার ৭০০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
এ তথ্যের পাশাপাশি এক বিবৃতিতে আরো জানানো হয়, গত কয়েক মাসে উগ্রপন্থী ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও আল-নুসরা ফ্রন্ট মারাত্মক ক্ষতির শিকার হয়েছে।
রাশিয়ার অভিযানের মুখে তারা ভীষণভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৯ সেপ্টম্বর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর এই ১১ দিনের অভিযানে কমপক্ষে ১৬ জন সন্ত্রাসী কমান্ডার নিহত হয়েছে এবং তাদের ৬৭টি আস্তানা, ৫১টি অস্ত্রভান্ডার, ২৭টি ট্যাংক, ২১টি মিসাইল লাঞ্চার ও ২০০টি সাঁজোয়াযান ধ্বংস হয়েছে।
রাশিয়ার বিমান হামলার সহায়তায় সিরিয়ার সরকারি বাহিনী ইরাক থেকে দেইর আল-জোরে সন্ত্রাসী হামলা চালানো উগ্রবাদীগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) প্রায় ১ হাজার ৫০০ উগ্রবাদীকে হত্যা করেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল অঞ্চল দখল করে আইএস। দেইর আল-জোরসহ সিরিয়ার বড় বড় কয়েকটি তেলক্ষেত্র দখল করে নেয় তারা। তবে বর্তমানে অধিকাংশ অঞ্চল থেকে আইএসকে বিতাড়িত করা হয়েছে।
এমটিনিউজ২৪ডটকম/আ শি/এএস