আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ডোকলাম সংঘাতের পর থেকেই চিন সীমান্তের দিকে বিশেষ নজর দোয়েছে ভারত। রাস্তা তৈরি থেকে শুরু করে রাফায়েল মোতায়েনের ব্যবস্থা করা। সব দিক থেকেই চিনকে চাপে রাখতে চাইছে ভারত। এবার অস্ত্র থেকে র্যাডার! দ্রুত সাজছে চিন সীমান্ত, সবরকম পন্থা ব্যবহার করবে বায়ুসেনা।
জানা গিয়েছে, খুব দ্রুততার সঙ্গে কাজ এগোচ্ছে বায়ুসেনা। ইস্টার্ন ফ্রন্টে অনেক কিছু আপগ্রেড করা হচ্ছে, যাতে চিনের সঙ্গে মোকাবিলা করা সুবিধা হয়। একাধিক নতুন অস্ত্র আনা হচ্ছে, তৈরি করা হচ্ছে নয়া র্যাডার, নেটওয়ার্কি সিস্টেম। এমনটাই জানিয়েছেন, এয়ার মার্শাল অনিল খোসলা। যার দায়িত্বে রয়েছে শিলং-এর ইস্টার্ন এয়ার কমান্ড।
এয়ার মার্শাল আরও জানান, বায়ুসেনার হাতে আসতে চলেছে, রাফায়েল এয়ারক্রাফট, চিনুক ও অ্যাপাচে হেলিকপ্টার। ইস্টার্ন কমান্ডে সম্প্রতি একটু নতুন C-130 স্কোয়াড্রন কমপ্লেক্স উদ্বোধন করা হয় বলেও জানান তিনি। এভাবেই ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে বায়ুসেনার ইস্টার্ন কমান্ড।
আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই বায়ুসেনা নতুন প্রযুক্তিও ব্যবহার করতে চলেছে। ইতিমধ্যেই চলে এসেছে উন্নত মানের র্যাডার। এদিকে, ফ্রান্সের রাফায়েল যুদ্ধবিমানকে স্বাগত জানাতে তৈরি হচ্ছে ভারত। সেজে উঠছে বায়ুসেনার সবথেকে পুরনো অম্বালা এয়ারবেস। রাফায়েল যুদ্ধবিমান রাখার জন্য নতুন করে তৈরি হচ্ছে হ্যাংগার, দেওয়া হচ্ছে বিশেষ ট্রেনিং।
ইতিমধ্যেই অম্বালা এয়ারবেস পরিদর্শন করে গিয়েছে ফ্রান্সের একটি টিম। প্রাথমিকভাবে সব ব্যবস্থা খুঁটিয়ে দেখা হয়েছে। তৈরি হচ্ছে ১৪টি নতুন শেল্টার, নতুন হ্যাংগার, নতুন অপারেটিং সারফেস। নতুন পরিকাঠামোর জন্য ২২৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। এয়ারবেসের নতুন পরিকাঠামোর কাজ শুরু হবে ২০১৮-র শুরুতেই। অন্তত ৪০ থেক ৫০ বছর এই নয়া পরিকাঠামো থাকবে বলে জানিয়েছেন অম্বালার কমান্ডিং অফিসার।
২০১৯-এর সেপ্টেম্বরেই ভারতে আসবে চারটি রাফায়েল। এরপর ২০২২-এর মধ্যে ১৮টি রাফায়েল এসে পৌঁছবে এদেশে। এই এয়ারবেস থেকে মাত্র ২০০ কিলোমিটার দূরেই পাক সীমান্ত। বর্তমানে অম্বালা এয়ারবেসে রয়েছে জাগুয়ার ফাইটার জেটের দুটি স্কোয়াড্রন ও মিগ-২১-এর একটি স্কোয়াড্রন। মিগ বিমানগুলিকে রাজস্থানের নিল এয়ারবেসে নিয়ে যাওয়া হবে।
একটি রাফায়েলের স্কোয়াড্রোন থাকবে পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারা এয়ারবেসে। যেটি চিন সীমান্তের খুব কাছেই অবস্থিত। ফলে, চিন কিংবা পাকিস্তান যে কোনও সীমান্ত দিয়ে যদি হামলা করে তাহলে যাতে দ্রুত রাফায়েলের মতো যুদ্ধবিমান পাঠানো সম্ভব হয় সেজন্যেই এই সিদ্ধান্ত বায়ুসেনার। যদিও এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী করতে এখনও বেশ কিছুটা ধৈর্য ধরতে হবে বায়ুসেনাকে। -কলকাতা২৪
এমটিনিউজ২৪/এম.জে