শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৭, ০১:০৭:৩৭

পদ্মার দক্ষিণ পারে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

পদ্মার দক্ষিণ পারে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

নিউজ ডেস্ক : বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হবে পদ্মা নদীর দক্ষিণ পারে। বিমানবন্দরের জন্য দুটি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্য থেকে একটিকে চূড়ান্ত করে আগামী সপ্তাহে নির্ধারিত স্থানের ঘোষণা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় সংসদের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৩১তম বৈঠকে ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা’বিষয়ক প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়। তবে তথ্যটি আগেই প্রকাশ হয়ে যেতে পারে বলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কমিটিকে জানানো হয়নি। মাদারীপুর জেলার মধ্যে মাওয়ার কাছাকাছি বিমানবন্দরটি হতে পারে। বৈঠকসূত্র আমাদের সময়কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সংসদীয় কমিটির সভাপতি মুহম্মদ ফারুক খান আমাদের সময়কে বলেন, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হবে পদ্মার ওপারে। রবিবার প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে বসবেন। তখন কিংবা আগামী সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত লোকেশন ঘোষণা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

বৈঠকসূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে জানানো হয়, ১৩৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকার এ প্রকল্পে ১৯ কোটি ৫৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। এ ছাড়া চলতি অর্থবছরে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়।

গত বছরের ৩১ আগস্ট জাপানি প্রতিষ্ঠানকে সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ওই বছরের ১ অক্টোবর তারা কাজ শুরু করে। গত জুনে পদ্মার ওপারে তিনটি জায়গা নির্ধারণ এবং এর সুবিধা-অসুবিধাসহ একটি প্রেজেন্টেশন মন্ত্রণালয়ের কাছে উপস্থাপন করে। পরে সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনা করে সেখান থেকে মন্ত্রণালয় দুটি জায়গাকে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করে। এ দুটির মধ্য থেকে চূড়ান্ত স্থান নির্ধারণে মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সময় চেয়েছে।

সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি আলোচনার জন্য আগামী রবিবার সময় দিয়েছেন। বৈঠকে প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে সাইট দুটো দেখানোর কথা রয়েছে। ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর চূড়ান্ত সিলেকশনের মাধ্যমে ঘোষণা আসতে পারে।

২০০৯ সালে মুন্সীগঞ্জের আড়িয়াল বিলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু স্থানীয় জনগণ বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলে। জনগণের আন্দোলনের মুখে সরকার আড়িয়াল বিলে বিমানবন্দর নির্মাণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। নতুন করে বিমানবন্দর নির্মাণের স্থান নির্বাচন শুরু হয়।
সূত্র: আামদের সময়
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে