আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ১৭৭০ কোটি কিয়াত ( ১০৭ কোটি টাকা প্রায়) বিনিয়োগ করছে দেশটির শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন ইউনিয়ন অব ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ইউএমএফসিসিআই)। প্রকল্প বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে ৯টি টিম গঠন করেছে সংঘটনটি।
দেশটির গণমাধ্যম অনলাইন মিয়ানমার টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে এ তথ্য।
এদিকে গত ২০ শে অক্টোবরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ওই বৈঠকে অং সান সুচি ব্যবসায়ী নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান আন্তর্জাতিক সহায়তার ওপর নির্ভর না করে স্থানীয় সম্পদ ব্যবহার করে রাখাইনে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের জন্য।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অং সান সুচি চাইছেন রাখাইনে অর্থনৈতিক জোন ও কৃষি জোন তৈরি করতে। বৈঠকে উপস্থিত এক ধনকুবের ইউ খিন শয়ে বলেন, এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা গেলে রাখাইন থেকে বাইরে যাওয়ার প্রবণতা কমবে। স্থানীয় মানুষরাই উল্টো সেখানে প্রবেশ করবে।
ইউইএইচআরডির এই সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় অর্থ সহায়তা দিয়েছে মিয়ানমারের শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। ২০ শে অক্টোবর রাজধানী ন্যাপিডতে ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশেন অ্যান্ড পিস সেন্টারে স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় ব্যবসায়ী নেতারা এ তহবিলে অর্থ দান করেন।
এদিকে রাখাইন উন্নয়নে শনিবার গঠিত ৯টি ওয়ার্কিং গ্রুপের কাজ হবে রাখাইনে ইউনিয়ন এন্টারপ্রাইজ ফর হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাসিসট্যান্স, রিসেটেলমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ইউইএইচআরডি)-এ সহযোগিতা করা। এই ওয়ার্কিং গ্রুপগুলো ৯টি মূল বিষয়ে কাজ করবে। তা হলো অবকাঠামো, জীবন জীবিকার সঙ্গে যুক্ত পশুসম্পদ ও ফিশারি, অর্থনৈতিক জোনের বাস্তবায়ন, তথ্য ও জন সম্পর্ক, কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি, ভোটেশনাল প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্যসেবা, ক্ষুদ্র ঋণ, ‘ক্রাউড ফান্ডিং’ ও পর্যটন খাতের উন্নয়ন।
অপরদিকে শীর্ষ স্থানীয় দাতাদের মধ্যে রয়েছেন কেবিজেড ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ইউ অং কো উইন, সাই পাইং কো’র ইউ মুয়াং, হটু কো’র উি তাইজা, জাই কাবার কো’র ইউ খিন শয়ে, ম্যাক্স মিয়ানমার কো’র ইউ জায়ে জায়ে, ইডেন কো’র ইউ উচিত খাইং, তুন ফাউন্ডেশন ব্যাংকের ইউ থেইন তুন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিটি ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রতিনিধিরা অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে রাখাইন সফর করবে। এ সময়ে জনগণ ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে তারা তাদের চাহিদা সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা পাবেন।
ইউইএইচআরডির সদস্য ড. অং হতুন থেট এক বিবৃতিতে বলেছেন, জটিলতা সত্ত্বেও রাখাইন রাজ্যে আমাদেরকে উন্নয়ন করতে হবে। এটা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের প্রমাণ করতে হবে।
তিনি আরো বলেছেন, রাখাইনের বাস্তব পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরতে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য আহ্বান জানাই ব্যবসায়ী ও বিদেশে বসবাসকারীদের।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস