রবিবার, ০৫ নভেম্বর, ২০১৭, ০৬:৩১:৩৫

সৌদি ধনকুবের প্রিন্স ওয়ালিদকেও আটক করা হয়েছে!

সৌদি ধনকুবের প্রিন্স ওয়ালিদকেও আটক করা হয়েছে!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সৌদি আরব দেশটির ১১ যুবরাজকে গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে বিশিষ্ট ধনকুবের প্রিন্স আল ওয়ালিদ বিন তালাল রয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া বর্তমান ও সাবেক বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের খবরে এ কথা বলা হয়।

এদিকে সৌদি ন্যাশনাল গার্ডের প্রধানের পদ থেকে প্রিন্স মেতিব বিন আব্দুল্লাহকে সরিয়ে খালেদ বিন আইয়াফকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। প্রিন্স মেতিন এক সময় যুবরাজ হওয়ার কাতারে এগিয়ে ছিলেন।

এছাড়া নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আব্দুল্লাহ্ বিন সুলতান বিন মোহাম্মদ আল সুলতানকে ও অর্থমন্ত্রী আদেল আল ফাকিহসহ বেশ কয়েকজন বরখাস্ত করা হয়েছে। খবর এএফপি’র।
আদেল আল ফাকিহকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মোহাম্মদ আল- তোইজরিকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে।

শনিবার রাতে সৌদি বাদশাহ্ এক ডিক্রি জারি করে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে নতুন দুর্নীতি দমন কমিটি গঠন করেন। নতুন কমিটি গঠিত হওয়ার পরপরই এই ধরপাকড় শুরু হয়।
সৌদি মালিকানাধীন আল আরাবিয়া টেলিভিশনে বলা হয়েছে, আটককৃতদের মধ্যে চারজন বর্তমান ও বেশ কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী রয়েছেন। লোহিত সাগর উপকূলীয় সাগর জেদ্দায় ২০০৯ সালের বন্যা নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু হয়েছে। এই তদন্তের অংশ হিসেবেই এদের আটক করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রাষ্ট্র পরিচালিত সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের জানমালের সুরক্ষা প্রদান ও দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা।

সৌদির আল-আরবিয়া টেলিভিশন সূত্রে খবর, ২০০৯ সালের বন্যার সময়কার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরেই একটা কমিশন গঠন করা হয়। সৌদির সরকারি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট বলছে, ওই কমিশনের মূল লক্ষ্য ছিল জনতার অর্থ অপচয় যাতে না হয় সেটা দেখা, দুর্নীতিগ্রস্তদের শাস্তি দেয়া এবং যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। দুর্নীতিবিরোধী এই কমিশনের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।

ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তিনি দেশের অর্থনৈতিক সংস্কারের জন্য উদ্যোগী হন। গত দু’সপ্তাহ আগেই রিয়াদে বাণিজ্য সম্মেলন হয়। সেখানে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিনিয়োগকারীরা হাজির হয়েছিলেন সেখানে। কী ভাবে দেশের আর্থিক সংস্কারের জন্য কাজ করা হচ্ছে সেটা তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়। পাশাপাশি, দেশের স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকেও তুলে ধরতে কসুর করেননি প্রিন্স মোহাম্মদ।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, প্রিন্সের ক্রমবর্ধমান ক্ষমতা, পররাষ্ট্রনীতি, আর্থিক সংস্কার এবং বেশ কিছু সাহসী পদক্ষেপের বিরোধিতা করছিলেন ধৃতদের কয়েক জন। বার বার দুর্নীতির অভিযোগ উঠছিল সৌদি সরকারের বিরুদ্ধে। দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতেই অবশেষে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন প্রিন্স মোহাম্মদ।
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে