সোমবার, ০৬ নভেম্বর, ২০১৭, ১১:২১:০৫

কোরিয়ার আকাশে মার্কিন বোমারু বিমান

কোরিয়ার আকাশে মার্কিন বোমারু বিমান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমা এবং দেশের পিলসাং রেঞ্জের ওপর দিয়ে উড়ে গেল দুটি মার্কিন বোমারু বিমান। বিমানবাহিনীর মুখপাত্র ক্যাপ্টেন ভিক্টোরিয়া হাইট জানান, এটি বৃহস্পতিবারের মহড়ার অংশ ছিল। কোরীয় উপদ্বীপের কাছেকাছি যে এই মহড়া হবে, সে বিষয়ে আগেই জানানো হয়েছিল। যদিও নির্দিষ্ট করে কোনো স্থানের কথা সেসময় উল্লেখ করা হয়নি।

উত্তর কোরিয়াকে বার্তা দিতেই ফের কোরীয় আকাশসীমায় তিন দেশের যৌথ বাহিনীর যুদ্ধবিমান শুক্রবার এই রকম দাপট দেখাল বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। স্বাভাবিকভাবেই তীব্র প্রতিক্রিয়া এসেছে কিম জং উনের দেশ থেকে। উত্তর কোরিয়াকে ‘ব্ল্যাকমেল’ করছে আমেরিকা, অভিযোগ পিয়ংইয়ং-এর।

প্রশান্ত মহাসাগরের গুয়াম দ্বীপের অ্যান্ডারসেন এয়ারবেস থেকে দু’টি বি-১বি ল্যান্সার বোমারু বিমান এ দিন ওড়ে কোরীয় আকাশসীমার উদ্দেশে। মার্কিন বোমারু বিমান দু’টি জাপানের পশ্চিমে পৌঁছনোর পর জাপানি বাহিনীর কয়েকটি যুদ্ধবিমান মহড়ায় যোগ দেয়। এই যৌথ বিমানবহর পীত সাগরের আকাশে পৌঁছনোর পর তাতে যোগ দেয় দক্ষিণ কোরিয়া। তিন দেশের যুদ্ধবিমান একসঙ্গে মহড়া দেয় কোরীয় আকাশসীমায়। আমেরিকা প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের তরফে এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দক্ষিণ কোরিয়া সফরের আগে, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র হুঁশিয়ারি নিয়ে বাড়াবাড়িরর জবাব দিলেন আমেরিকার প্রতিরক্ষামন্ত্রী। পিয়ংইয়ংকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে জেমস ম্যাটিসের বক্তব্য পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের চেষ্টা করলে যোগ্য জবাব ফেরত পাবে উত্তর কোরিয়া। তারই মহড়া চলছে। ম্যাটিস বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়া সফরে রয়েছেন।

দায়িত্ব নেয়ার পর তার প্রথম বিদেশ সফর এটি। এই সফরে সিউলকে আমেরিকার সমর্থনের বিষয়টিতে আরো জোর দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব। উত্তর কোরিয়াকে সতর্ক করে তিনি বলেন, আমেরিকার বা এর কোনো বন্ধু দেশের উপর হামলা চালানোর চেষ্টা ব্যর্থ করতে সক্ষম আমেরিকা। তাই সেই চেষ্টা না করাই বাঞ্ছনীয়।

বিশ্বে বিভিন্ন দেশের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমশই যেদিকে এগচ্ছে, তাতে নিজের নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন দেশগুলি উঠেপড়ে লেগেছে। বিশেষত পরমাণু অস্ত্রের ভাণ্ডারকে আরো শক্তিশালী করার দিকেই মন দিয়েছে অনেক দেশ। উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষাই যেন বিভিন্ন দেশকে এই বিষয়ে ভাবতে আরো বাধ্য করছে বলে মত একাংশের। আর এক্ষেত্রে দুশ্চিন্তা সবথেকে বেশি আমেরিকার। তাই আমেরিকা তার পরমাণু অস্ত্রভান্ডারের উন্নয়নে আধুনিকীকরণে জোর দিয়েছে। আর তার জন্য তার প্রায় ১২০০ কোটি ডলার ব্যয় হবে। তবে এই কাজটি খুবই সময়সাপেক্ষ। প্রায় ৩০ বছর সময় লেগে যেতে পারে এর জন্য। পুরানো সমস্ত পরমাণু অস্ত্রেরও বদল ঘটবে।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে