শনিবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৭, ০১:০৩:১৯

নিরপেক্ষ না হলে বিপদ ডেকে আনবেন সৌদি যুবরাজ সালমান

নিরপেক্ষ না হলে বিপদ ডেকে আনবেন সৌদি যুবরাজ সালমান

জেমস ডরসি : সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান যখন দেশ থেকে দুর্নীতি উৎপাটনের ঘোষণা দিয়েছিলেন, কুয়েতি বিলিয়নিয়ার মান আল-সানেয়ারের বিপদ আঁচ করতে পারা উচিত ছিল।

সৌদি আরবের ইতিহাসে অন্যতম বড় আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত ছিলেন তিনি। এক প্রখ্যাত সৌদি ব্যবসায়ী পরিবারের সঙ্গে ২২ বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি নিয়ে বৈরিতা ছিল তার। তাদের দ্বন্দ্বের জেরে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কিছু ব্যাংককে কয়েক বিলিয়ন ডলার গচ্চা দিতে হয়েছে।

অক্টোবরের দিকে আল-সানেয়ার প্রাসাদে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। দেশের একদল এলিটের ওপর যুবরাজ সালমানের আক্রমণ শুরুর মাত্র দুই সপ্তাহ আগে এই ঘটনা ঘটে। আল-সানেয়ার গ্রেপ্তারের ঘটনা নিয়ে তেমন উচ্চবাচ্য হয়নি।

রাজপরিবারের সদস্য, ব্যবসায়ী ও জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্তারা একে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবেই দেখেছিলেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, আল-সানেয়ার তো বটেই, অনেকেই যুবরাজ সালমানের উচ্চাবিলাস, নিষ্ঠুরতাকে অত গুরুত্বের সঙ্গে নেননি।

যুবরাজ জুনে সতর্ক করে বলেছিলেন, ‘যারাই দুর্নীতিতে নিমজ্জিত তাদের কেউই ছাড় পাবে না। হোক সে মন্ত্রী, কিংবা প্রিন্স।’ দৃশ্যত, কেউই ওই বক্তব্য আমলে নেননি। নিলে আগেই সতর্ক হতে পারতেন তারা।

অবশ্য, আল-সানেয়ার কিংবা রাজপরিবারের সদস্য ও ব্যবসায়ীদের নিশ্চিন্ত থাকার কারণও ছিল। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান তথা বাদশাহ সালমানের পরিবারের মতো, তারাও এমন এক সিস্টেমের অংশ, যেটি সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে বিরাজমান।

যুবরাজের দুর্নীতি-বিরোধী কমিটি গঠন করা হয় প্রিন্স, ব্যবসায়ী ও মন্ত্রীদের ধরপাকড় শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে। এই কমিটি হলো একটি বাস্তবায়ন সংস্থা। এর রয়েছে গ্রেপ্তার, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষমতা। কিন্তু এটি কোনো রেগুলেটরি বডি নয়। সেক্ষেত্রে তারা আইন প্রণয়ন করে নষ্ট সিস্টেমকে মৌলিকভাবে পাল্টানোর সুযোগ পেত।

সৌদি আইন এমন সিস্টেমের অংশ, যেটি পঞ্চাশের দশকের আগেও রাষ্ট্রের বাজেট আর শাসক পরিবারের বাজেটের মধ্যে কোনো তফাত রাখতো না। তখন রাজপরিবারের সদস্যদের ব্যক্তিগত ব্যয় নির্বাহ হতো রাষ্ট্রভাণ্ডার থেকেই। পঞ্চাশের দশকে বিষয়টি আলাদা করা হলেও, রাষ্ট্র ও রাজ পরিবারের মধ্যে কোনো স্পষ্ট বিভাজন রেখা আজও সৌদি আইনে নেই।

অন্য কথায় বলা যায়, আইনে এমন কিছু নেই যাকে রাজপরিবারের সদস্যদের ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’ বা স্বার্থের দ্বন্দ্ব প্রতিরোধের বিধি বিধান বলা যায়। অর্থাৎ, কীভাবে রাজপরিবারের সদস্যরা রাষ্ট্রের সঙ্গে লেনদেন করবেন, তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়মনীতি নেই। ব্যবসায়িক চুক্তিগুলো যেন রাজপ্রাসাদের অভ্যন্তরীণ বেজবল গেমের ফল।

রাজপরিবারের সদস্যদের আয় ও সম্পদের উৎস সৌদি আরবে খুবই গোপন রাখা হয়। বাস্তবতা হলো, তাদের সম্পদের প্রকৃত তথ্য যদি প্রকাশ করা হয়, তাহলে ফরচুন ম্যাগাজিনের শীর্ষ ৫০০ বিলিয়নিয়ারের তালিকা ভিন্নরকম দেখাতো।

প্রথম দিকে, শাসক পরিবারের সদস্য ও ব্যবসায়ীরা পয়সা বানিয়েছে একাধিক উপায়ে। নিজেদের প্রভাব প্রতিপত্তি খাটিয়ে তাদের কেউ কেউ সরকারি বিভিন্ন খরুচে প্রকল্পের কাজ বিভিন্ন বিদেশি কোম্পানিকে পাইয়ে দিয়েছেন। বিনিময়ে তারা পেয়েছেন বিপুল অর্থের কমিশন।

অনেকে ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়েছেন, যেগুলো আর পরিশোধই করেননি। ন্যাশনাল কমার্শিয়াল ব্যাংক একবার এই শতকের শুরুর দিকে দেওলিয়া হওয়ার পথে বসেছিল কারণ প্রিন্সরা তাদের ঋণ শোধ করেননি।

১৯৪৩ সালে লাইফ ম্যাগাজিনের সম্পাদক নোয়েল এফ. বুশ সফর করেছিলেন সৌদি আরব। দেখা করেছিলেন দেশের প্রথম বাদশাহ ইবন সৌদের সঙ্গে। ফিরে গিয়ে নিজের নিবন্ধে তিনি এমন এক শাসকের বর্ণনা দিয়েছেন, যার কাছে ‘রাষ্ট্র হলো নিজের।’ এটা এমন সিস্টেম যেটা সময়ে সময়ে হালনাগাদ বা আধুনিক করা হয়েছে বটে, কিন্তু এর মৌলিক ভিত্তি আগের অবস্থানেই গেছে।

সৌদি সাংবাদিক ও একটি পত্রিকার সাবেক সম্পাদক জামাল কাশোগি সম্প্রতি দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি আগেই আন্দাজ করতে পেরেছিলেন যুবরাজ ধরপাকড় শুরু করতে পারেন। ধরা পড়তে পারেন তিনিও।

সম্প্রতি, ওয়াশিংটন পোস্টে এক মতামত কলামে তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের বেকারত্বের হার কমে যেত ব্যাপকভাবে যদি আমরা সরকারি প্রকল্পের আবরণে করা ব্যক্তিগত বিলাসীতায় বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার তছনছ না করে, ছোট বা মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা দিতাম।

ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা খাতকে একুশ শতকের উপযোগী করতে সংস্কার আনতাম। সৌদি আরবের জ্যেষ্ঠ সরকারী কর্মকর্তা ও প্রিন্সরা বিলিয়নিয়ার হয় দুই উপায়ে। এক. সরকারী প্রকল্পে অর্থব্যায় অনেক বেশি দেখিয়ে। দুই. স্রেফ লুটপাট করে।’

নিজের নিবন্ধে কাশোগি এমন একটি উদাহরণও দেখিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, শুধুমাত্র একদল প্রিন্সের স্বার্থ রক্ষা করতে একটি বিমানবন্দর বানানো হয়েছিল ভুল স্থানে। ওই প্রিন্সরা ছিলেন জমির মালিক। তারা এটি সরকারের কাছ থেকে বিনামূল্যে পেয়েছিলেন। এরপর আবার বিমানবন্দরের জন্য জমি দিয়ে সরকারের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতিপূরণ পেয়েছিলেন।

যুবরাজ সালমান দেশের অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনার পরিকল্পনা করেছেন। কঠোর সামাজিক বিধিবিধান শিথিল করে অর্থনৈতিক সংস্কার এগিয়ে নিতে চান তিনি। এটি হয়তো হতে পারে বিদ্যমান সিস্টেমের সবচেয়ে বড় হালনাগাদকরণ বা উন্নয়ন। কিন্তু মৌলিক ভিত্তি পাল্টানোর কোনো উদ্যোগ কি তিনি নিয়েছেন?

এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, দুর্নীতিবিরোধী অভিযান ও ক্ষমতাসীনদের ধরপাকড় করায় তিনি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। কারণ, শাসক পরিবারের সদস্যরা নিজেদের আর্থিক স্বার্থ এগিয়ে নিতে যে রাষ্ট্রীয় সুবিধা পেতেন তা নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন অনেক সৌদি নাগরিক। কিন্তু এরপরও যুবরাজের নতুন পদক্ষেপকে দুর্নীতিগ্রস্ত সিস্টেমকে পাল্টানোর পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে না।

একে ভাবা হচ্ছে, তার নিজের ও নিজ পরিবারের ক্ষমতা সুসংহত করার প্রচেষ্টা হিসেবে। এই পুরো অভিযানে বাদশাহ সালমানের নিজ পরিবারের কেউই ধরা পড়ছেন না বা তাদের আয়ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন উঠছে না। মূলত, তার অভিযানে টার্গেট করা হচ্ছে বাদশাহর তিন ভাই, তথা সাবেক বাদশাহ আবদুল্লাহ ও ফাহাদ এবং তাদের আরেক ভাই নায়েফের পরিবারকে।

ফাহাদের ছেলে প্রিন্স আবদুল আজিজ রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। আবদুল আজিজ ছিলেন মিডল ইস্ট ব্রডকাস্টিং কোম্পানির শেয়ারধারী। এই কোম্পানির আওতায়ই রয়েছে সৌদি টিভি চ্যানেল আল আরাবিয়া। এই কোম্পানির সর্বোচ্চ শেয়ারধারী ওয়ালিদ বিন ইবরাহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি ছিলেন বাদশাহ ফাহাদের এক স্ত্রীর ভাই।

প্রিন্স আবদুল আজিজকে ভাবা হতো পূর্ববর্তী যুবরাজ প্রিন্স মোহাম্মদ বিন নায়েফের সমর্থক হিসেবে। নেশাগ্রহণের অভিযোগ এনে মোহাম্মদ বিন নায়েফকে ক্রাউন প্রিন্স বা যুবরাজ পদ থেকে সরিয়ে বর্তমান বাদশাহ-পুত্র মোহাম্মদ বিন সালমানকে বসানো হয়।

এমনকি মোহাম্মদ বিন নায়েফকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রিত্ব থেকেও সরিয়ে দেয়া হয়। ধারণা করা হয়, এরপর থেকে তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। তার পিতা নায়েফ বিন আবদুল আজিজও এক সময় ছিলেন ক্ষমতাধর যুবরাজ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

আটক হয়েছেন সাবেক বাদশাহ আবদুল্লাহর ছেলে প্রিন্স তুর্কি, আরেক ছেলে ও সাবেক উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স ফাহাদ, এবং বাদশাহর আরেক ভাই নাসেরের ছেলে প্রিন্স তুর্কিকেও। নায়েফের পরিবার বা বংশধররা ঐতিহ্যগতভাবেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামলাতেন। তেমনি আবদুল্লাহর পরিবার ঐতিহ্যগতভাবে এক লাখ সদস্যের বাহিনী ন্যাশনাল গার্ড সামলাতো।

ন্যাশনাল গার্ডের প্রধান হিসেবে যখন আবদুল্লাহর আরেক ছেলে প্রিন্স মুতাইবকে সরিয়ে দেয়া হয় এবার, তখন ন্যাশনাল গার্ড চুপই ছিল। বাদশাহর আরেক ভাই সাবেক যুবরাজ সুলতানের পুত্র ভাবা হয় ভাইস অ্যাডমিরাল আবদুল্লাহকে। তাকেও নৌবাহিনী প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।

অথচ, প্রশ্ন উঠছে না যুবরাজ তথা বাদশাহর নিজের পরিবারের কারও লেনদেন নিয়ে। যেমন, গত বছরও খোদ যুবরাজই ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে বিশ্বের ১৫তম দীর্ঘ ইয়ট কিনেন বলে সংবাদ প্রকাশ করে নিউ ইয়র্ক টাইমস।

তিনি এমন সময় এই ইয়ট কেনেন যখন সরকারের মিতব্যয়ি নীতির কারণে অনেক সাধারণ নাগরিক অসুবিধায় পড়েন। কিন্তু, যুবরাজ তার নিজের এই বিলাসবহুল অর্থ ব্যয়ের কোনো ব্যাখ্যা দেননি। বা, এই অর্থ কীভাবে তিনি পেলেন, তার কোনো ব্যাখ্যাও নেই।

এটিও স্পষ্ট নয়, খোদ বাদশাহই বা কীভাবে নিজের দু’টি অফশোর কোম্পানির অর্থ যুগিয়েছেন। এই কোম্পানির মাধ্যমেই নিজের লন্ডনস্থ বাড়ির জন্য ৩৪ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ ও একটি ইয়ট পরিচালনা করেন তিনি। এ সপ্তাহে সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিআইজে প্রকাশ করেছে প্যারাডাইজ পেপারস, যেখানে বাদশাহর পরিবারের একাধিক সদস্যের গোপন অফশোর সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে।

নিউ ইয়র্ক টাইমস আরও প্রকাশ করেছে যে, বাদশাহর অন্যতম ছেলের প্রতিষ্ঠিত একটি বৃহৎ সৌদি বিনিয়োগ ব্যাংক, যেটির চেয়ারম্যান তার আরেক ছেলে, সেটি সরকারের সঙ্গে বিলাসবহুল কাজকর্ম করে। যেমন, ফরাসি এক প্রতিরক্ষা কন্ট্রাক্টরের সঙ্গে জাহাজ নির্মাণের প্রকল্প আছে তার। বাদশাহর আরেক ছেলের তুলনামূলক ছোট প্রতিষ্ঠান আছে, যেটি সরকার নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন খাতে ব্যবসা করে।

সত্যি বলতে গেলে, অফশোর সম্পদ থাকাটা যে অবৈধ, তা নয়। আবার রাজপরিবারের সদস্যরা আইনানুযায়ী নিজ পরিবারের নামে নামাঙ্কিত রাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবে না, তা-ও নয়। কিন্তু এটি সত্য যে, সৌদি আরব উপকৃত হবে যদি তাদের সংস্কারকের স্বচ্ছতা থাকে, সকলকে আইনের দৃষ্টিতে সমানভাবে দেখার গুণ থাকে। এবং বেছে বেছে কাউকে আঘাত না করে, দুর্নীতির মূলোৎপাটনের সদিচ্ছা থাকে।

সেক্ষেত্রে, যুবরাজ মোহাম্মদ ভালো করতেন যদি তার দুর্নীতিবিরোধী কমিটি প্রতিহিংসাপরায়ণ না হয়ে আইন প্রণয়নের দিকে নজর দেয়। যে আইনের মাধ্যমে কিনা দুর্নীতি-বিরোধী নিয়ম নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে, একই সঙ্গে ক্ষমতাশালীদের কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট রোধে সুস্পষ্ট বিধিবিধান থাকবে। পাশাপাশি, এই আইন রাষ্ট্র ও রাজপরিবারের আর্থিক বিষয়াদীতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে। অন্যথা, এটি রাজপরিবারে বিভেদের বীজ বুনবে।

ন্যাশনাল গার্ড ও নৌবাহিনী প্রধানদের সরিয়ে দেয়ার পর কোনো প্রতিক্রিয়া বাহিনীগুলোতে দেখা যায়নি। কিন্তু এটি সত্য যে, অনেকেই অসন্তুষ্ট হয়েছেন। একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র বলেছে, দেখতে হয়তো সবকিছু ঠিকঠাকই মনে হবে। কিন্তু যেভাবে পরিস্থিতি গড়িয়েছে তা ন্যাশনাল গার্ড ও নৌবাহিনীর অনেকেই পছন্দ করেননি।

সৌদি বিশেষজ্ঞ ও সাবেক সিআইএ কর্মকর্তা ব্রুস রাইডেলও তেমন মনে করেন। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ধরপাকড়ের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন সমর্থনসূচক টুইট করলেন, তখন রাইডেল লিখেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রকে হঠকারী তরুণ যুবরাজের সমর্থনে দাঁড় করিয়েছেন। মনে হচ্ছে, এর বিপদ সম্পর্কে প্রশাসন সচেতন নয়। বিপদ ক্রমেই বাড়ছে।’

(মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ জেমস ডরসি সাংবাদিক এবং সিংগাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক। তার সাম্প্রতিক দু’টি ব্লগের ভিত্তিতে এই নিবন্ধটি লেখা হয়েছে।) -এমজমিন
এমটিনিউজ/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে