আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জিম্বাবুয়ের রাজধানী হারারের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে অবস্থান নিয়ে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জিম্বাবুয়ে ব্রডকাস্টিং করপোরেশন (জেডবিসি) দখলে নিয়েছে দেশটির সেনা সদস্যরা।
সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের নেতৃত্বাধীন জেডএএনইউ-পিএফ সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ আনেন। এরপর বুধবার অভ্যুত্থানের এ পূর্বাভাস দিল সেনাবাহিনী। তবে এ সেনা অভিযানের নেতৃত্বে কে রয়েছেন, সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগওয়াকে অপসারণের পর মঙ্গলবার সেনাপ্রধান জেনারেল কনস্টান্টিনো চিওয়েঙ্গা হস্তক্ষেপের হুমকি দেন। এর ২৪ ঘণ্টা পর রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান নামানো হয়।
বুধবার ভোরে রাজধানী হারারের উত্তরাঞ্চলীয় শহরতলীতে তীব্র গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। বিক্ষুব্ধ সেনারা রাস্তায় চলন্ত গাড়িগুলো দ্রুত চলে যেতে বলে। হারারের একটি রাস্তায় আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের এক প্রতিবেদককে এক সেনাসদস্য বলেন, এটাকে তামাশা ভাবার কারণ নেই। দ্রুত রাস্তা থেকে সরে যান।
ওই বক্তব্যের ঘণ্টা দুই পর সেনারা জেডবিসি সদর দফতর দখলে নেয়। এরপর তারা কর্মীদের কর্মস্থল ছাড়ার নির্দেশ দেয়। এ সময় কয়েক জনকে হেনস্তা করা হয় বলে টেলিভিশনের কয়েক জন কর্মী সংবাদ মাধ্যমে অভিযোগ করেছেন।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন স্টেশন দখলে নেওয়ার পর এক লিখিত বিবৃতিতে দেশটির সেনাবাহিনী জানায়, এটি 'চিহ্নিত অপরাধীদের' বিরুদ্ধে অভিযান। এটি সামরিক ক্যুয়ের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের বিষয় নয়। প্রেসিডেন্ট মুগাবে নিরাপদ আছেন বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকায় নিযুক্ত জিম্বাবুয়ের রাষ্ট্রদূত আইজ্যাক মোয়ো সামরিক অভ্যুত্থানের বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে বলেন, সরকার বহাল আছে। সেনাবাহিনীর লিখিত বিবৃতিটিতে বলা হয়, আমরা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, মহামান্য রাষ্ট্রপ্রতি ও তার পরিবার নিরাপদ ও ভালো আছে। তাদের পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, আমাদের অভিযান অপরাধী ও যারা অপরাধ সংঘটিত করে সেই চক্রের বিরুদ্ধে, যাদের কারণে দেশ সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যতো দ্রুত সম্ভব আমরা আমাদের অভিযান শেষ করবো। আমরা আশা করি, পরিস্থিতি শিগগিরই স্বাভাবিক হবে। সূত্র: বিবিসি ও রয়টার্স।
এমটি নিউজ২৪ডটকম/আ শি/এএস