রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৭:৫৩:৪১

মুসলিম মহিলাদের উপর অন্যায় অবিচার বন্ধ করুন : রামদেব

মুসলিম মহিলাদের উপর অন্যায় অবিচার বন্ধ করুন : রামদেব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসলামের নামে মুসলিম মহিলাদের উপর অন্যায় অবিচার বন্ধ হোক। রোববার উত্তরপ্রদেশে পত্রঞ্জলির এক অনুষ্ঠানে এসে এমনটাই জানান যোগগুরু বাবা রামদেব। সেই সঙ্গে তিন তালাক রোধে কেন্দ্র যে নয়া বিল আনতে চলেছে তাকেও সমর্থন জানান তিনি।

একনিঃশ্বাসে তিন তালাক বন্ধ করতে নয়া বিল আনতে চলেছে ভারত সরকার। বিলটি এখন খসড়া আকারে রয়েছে। শুক্রবার সব রাজ্যকে সেই বিলের খসড়া পাঠানো হয়।

এদিন যোগগুরু রামদেব বলেন, ''ভারত সরকার যে বিল আনতে চলেছে তাকে সবার স্বাগত জানানো উচিত। মুসলিম মহিলাদের স্বার্থ সুরক্ষায় এই বিল তৈরি করা হয়েছে।''

প্রসঙ্গত খসড়ায় বলা হয়েছে, ইমেল, হোয়াটস অ্যাপ, এসএমএসের মতো কোন বৈদ্যুতিন মাধ্যমে লিখে অথবা মৌখিক ভাবে অথবা সামনা সামনি স্ত্রীকে তাত্‍ক্ষণিক তালাক দিলে তা অবৈধ বলেই গণ্য হবে। সেই তালাক গ্রহণীয় হবে না।

তাত্‍ক্ষণিক তিন তালাকের শিকার মুসলিম মহিলারা স্বামীর কাছ থেকে নিজের এবং তাদের নাবালক সন্তানের জন্য খোরপোশের দাবি জানাতে পারবেন। এর জন্য তিনি আইনের সাহায্য নিতে পারেন।

শুধু তাই নয়, সন্তানকে স্ত্রী তার কাছে রাখার আবেদনও জানাতে পারবেন। যদিও এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বিচারকই। সন্তর্পণে স্ত্রীর খোরপোষ এবং সন্তানের ভরণপোষণের বিধান দুটি খসড়ায় রাখা হয়েছে।

কারণ মুসলিম মহিলাদের বাড়ি ছাড়া করার পর যাতে তারা আইনি সুবিচার পায়। তিন তালাক দিলে স্বামীর তিন বছরের জেল হতে পারে বলে খসড়ায় বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট তাত্‍ক্ষণিক তিন তালাককে অবৈধ বলে রায় দেওয়ার পর তিন তালাক দেওয়ার প্রবণতা কিছুটা কমলেও বন্ধ করা যায়নি।

রায়ের আগে চলতি বছর ১৭৭টি এরকম ঘটনা সামনে এসেছে। আর অগষ্টে শীর্ষ আদালতের রায়ের পর ৬৬টি এরকম ঘটনা ঘটেছে। যেখানে মুসলিম মহিলাকে তার স্বামী সোশ্যাল মিডিয়া মারফত এক নিঃশ্বাসে তিন তালাক দিয়েছেন। এর অধিকাংশই হয়েছে উত্তর প্রদেশে।

এই প্রবণতা বন্ধ করতে কড়া আইন আনার পথে হাঁটে ভারত সরকার। আগামী শীতকালীন অধিবেশনে বিলটি লোকসভায় পাশ করাতে চায় শাসক দল বিজেপি। আইনসভায় পাশ হওয়ার পর বিলটি পাঠানো হবে রাষ্ট্রপতির কাছে।

রাষ্ট্রপতি বিলে সই করলেই সেটি আইনে পরিণত হবে। ইতিমধ্যে বিলটির বিরোধিতায় আসরে নেমেছেন মুষ্টিমেয় মুসলিম নেতা। হায়দরাবাদের মুসলিম নেতা আসাদুদ্দিন ওয়েইসি বিলটির প্রবল বিরোধিতা করেন।
এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে