বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৮:১৫:২৪

‘মুসলমানদের পবিত্র স্থানগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে যুক্তরাষ্ট্র’

‘মুসলমানদের পবিত্র স্থানগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে যুক্তরাষ্ট্র’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতির প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গুরুত্বর অভিযোগ তুলে দেশটির প্রেসিডেন্টকে হুশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।

সংগঠনটি বলছে, সেখানে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের অর্থ হবে জেরুজালেম শহরকে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া। এর পরিণতি হবে ভয়াবহ। দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী করার দাবিকে পাশ কাটিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তার প্রভাব হবে ধ্বংসাত্মক। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হলে তা হবে জেরুজালেমের আল-কুদস শহরের ওপর মার্কিন আগ্রাসন। এটা সেখানে ইহুদিবাদী দখলদারিত্বকে স্বীকৃতি দেওয়ার নামান্তর।’

সংগঠনটির মুখপাত্র সামি আবু জুহরি বলেছেন, আমেরিকা যে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে তা খুবই গুরুতর। তারা মুসলমানদের বিশ্বাস ও পবিত্র স্থানগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। মঙ্গলবার তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

এদিকে জেরুজালেম নিয়ে সীমা লঙ্ঘন না করতে ট্রাম্পের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। মঙ্গলবার আঙ্কারায় দলীয় এক অনুষ্ঠানে এরদোয়ান বলেন, ‘জনাব ট্রাম্প, জেরুজালেম প্রশ্নে আপনার অবস্থান মুসলিমদের জন্য সীমা লঙ্ঘনের শামিল।’

বার্লিনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গ্যাব্রিয়েল বলেছেন, কেবল ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার আলোচনার মাধ্যমেই জেরুজালেম নিয়ে সৃষ্ট সংকটের সমাধান আসতে পারে। এই সংকটকে আরও ঊর্ধ্বমুখী করে এমন যে কোনও পদক্ষেপ হবে হিতে বিপরীত।

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জেরুজালেমের বিষয়ে জার্মানির অবস্থানে কোনও পরিবর্তন হবে না। বরং দুই পক্ষের পক্ষের মধ্যে আলোচনায় বার্লিন মধ্যস্থতা অব্যাহত রাখবে।

এদিকে ফিলিস্তিনের ক্ষমতাসীন দল পিএলও বলেছে, জেরুজালেমের ওপর যে কোনও ধরনের আঘাত আসলে তা হবে ‘আগুন নিয়ে খেলা’র শামিল। মুসলিম-খ্রিস্টান ও ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র ভূমিকে ইসরায়েলের রাজধানীর স্বীকৃতি দিলে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে বলেও মন্তব্য করেছে তারা।

ফিলিস্তিনি মুক্তি আন্দোলনের সংগঠন-পিএলও মহাসচিব সায়েবে এরেকাত বলেন, জেরুজালেম শুধু ফিলিস্তিনের জন্যই নয়, সারা বিশ্বের মুসলিম ও খ্রিস্টানদের জন্যও স্পর্শকাতর বিষয়। মার্কিন প্রশাসন জেরুজালেমের ঐতিহাসিক তাৎপর্য বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে। জেরুজালেম, আল আকসা মসজিদ কিংবা সেখানকার চার্চের ওপর যে কোনও ধরনের আঘাত আসলে তা হবে আগুন নিয়ে খেলার শামিল।’

এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে