সোমবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৯:২১:১৪

একঘরে যুক্তরাষ্ট্রঃ জেরুজালেম ইস্যুতে কাউকে পাশে পাচ্ছেন না ট্রাম্প

একঘরে যুক্তরাষ্ট্রঃ জেরুজালেম ইস্যুতে কাউকে পাশে পাচ্ছেন না ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জেরুজালেম ইস্যুতে কাউকেই পাশে পাচ্ছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর ফলে স্বভাবতই একঘরে হতে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রকে। জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা এবং তেলআভিভ থেকে দূতাবাস সেখানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছিল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বৈঠক চলাকালীন ১৫ সদস্যের পরিষদে মার্কিন প্রতিনিধি নিকি হ্যালি একাই দেশের প্রেসিডেন্টের হয়ে সরব হলেন। বাকি কোন দেশই সমর্থন জানাল না যুক্তরাষ্ট্রকে।

এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ফ্রান্স, ব্রিটেনও কড়া সমালোচনা করল ট্রাম্পের। ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানি ও সুইডেন একটি যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে— যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তকে আমরা মানি না। এটি নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব-বিরোধী এবং বিশ্বের ওই অংশের শান্তি রক্ষার ক্ষেত্রে খুবই অস্বস্তিকর।

তাদের বক্তব্য, জেরুজালেমের পরিচয় ঠিক কী হবে, সেটা ইসরায়েল ও প্যালেস্তাইনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে, চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করে স্থির করা উচিত। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সব দেশের অবস্থান বরাবরই এক— জেরুজালেমকে ইসরায়েল ও প্যালেস্তাইন, দুই দেশেরই রাজধানী ঘোষণা করা হোক। সেটা না করলে আখেরে জেরুজালেমের সার্বভৌমত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়। দিন দুয়েক আগে ইইউ-এর বিদেশনীতি বিষয়ক দফতরের প্রধান ফেডেরিকা মোঘেরিনিও এ কথা জানিয়েছিলেন।

এ প্রসঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধি নিকি হ্যালির বক্তব্য, ওই দু’দেশের সীমান্ত নিয়ে কোন মন্তব্য করেননি ট্রাম্প।

আর জেরুজালেমের সার্বভৌমত্ব যে ইসরায়েল ও প্যালেস্তাইনকে আলোচনার মাধ্যমে বজায় রাখতে হবে, সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।   হ্যালির কথায়, আমরা জানতাম, প্রশ্ন উঠবেই। কিন্তু আমাদের এই সিদ্ধান্ত শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। ভয়ে পিছিয়ে গিয়ে তো কোন লাভ নেই। বাস্তবে যে পরিস্থিতি, আমাদের সিদ্ধান্তে সেটাই প্রতিফলিত হয়েছে।

কিন্তু হ্যালির কোন কথাতেই কোন কাজ হয়নি।  এই প্রথম কোন আন্তর্জাতিক সংগঠনের বৈঠকে এভাবে একঘরে হয়ে যেতে দেখা গেল যুক্তরাষ্ট্রকে।

উল্লেখ্য, বুধবার জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়া তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথাও জানানো হয়। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে মুসলিম বিশ্বে। রাজপথে নেমে আসেন ফিলিস্তিনিরা। গাজা ও ফিলিস্তিন ছাড়িয়ে এই প্রতিরোধ ছড়িয়ে পড়ে তুরস্ক, মিসর, জর্ডান, তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া ও ইরাকসহ অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোতে।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে