আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানীর স্বীকৃতি দেওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করেছেন সৌদি বাদশা সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সাউদ। তিনি জানান, পূর্ব জেরুজালেম ফিলিস্তিনি রাজধানী হওয়া উচিত। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার সৌদি বাদশা টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে তিনি পূর্ব জেরজালেমকে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের রাজধানী প্রতিষ্ঠায় সৌদি প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দেন। তিনি বলেন, সৌদি রাজপরিবারর এই আঞ্চলিক সংকটের একটি রাজনৈতিক সমাধান চায়।
বুধবার ৬ ডিসেম্বরজেরুজালেমকে ইসরায়েলি রাজধানীর স্বীকৃতি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানান , খুব শিগগিরই তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে সরিয়ে নেওয়া হবে মার্কিন দূতাবাস। এই ঘোষণা পর আন্তর্জাতিক মহল থেকে নিন্দার ঝড় উঠে। উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতা আন্তর্জাতিক জোটও।
সর্বশেষ বুধবার এই ইস্যুতে আলোচনায় বসেছে মুসলিম দেশগুলোর আন্তর্জাতিক জোট ওআইসি। সেখানে পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের রাজধানীর স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংকটের সবচেয়ে স্পর্শকাতর বিষয় হলো জেরুজালেম। ১৯৮০ সালে জেরুজালেমকে রাজধানী ঘোষণা করেছিল ইসরায়েল। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এর সমর্থন দেয়নি। আর ফিলিস্তিনিরা চায় দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেম যেন তাদের রাজধানী হয়। এ কারণে সেখানে কোনও দেশ দূতাবাস স্থাপন করেনি। সবগুলো দূতাবাসই তেল আবিবে অবস্থিত। মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন নীতির বাইরে গিয়ে গত ৬ ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর থেকেই বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। আর ফিলিস্তিনে শুরু হয়েছে তীব্র বিক্ষোভ। ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম ও গাজা উপত্যকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হচ্ছে
সৌদি বাদশা জানান, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত খুবই পক্ষপাতদুষ্ট। এটা ফিলিস্তিনিদের শান্তিরক্ষায় আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। তিনি বলেন, আমি আবারও জেরুজালেম নিয়ে মার্কিন সিদ্ধান্তের নিন্দা জানাই।’
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস