আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরান, রাশিয়া ও তুরস্কের নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী লড়াইয়ে যোগ দিতে পাকিস্তান ও চীনকে আহ্বান জানিয়েছে তেহরান। পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত দু দিনব্যাপী সন্ত্রাসবাদ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এ আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের জাতীয় পার্লামেন্টের স্পিকার ড. আলী লারিজানি।
তিনি ইরান, তুরস্ক ও রাশিয়ার সম্মিলিত জোটকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের বিকল্প হিসেবে উল্লেখ করেন। ড. লারিজানি বলেন, মার্কিন নেতৃত্বাধীন কথিত সামরিক জোটের কারণে নিরাপত্তা সংকট দেখা দিয়েছে।
স্পিকার আলী লারিজানি বলেন, "ইরান, রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যে যে জোট হয়েছে তাকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন রয়েছে কারণ সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী লড়াইয়ে এ জোট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই জোটে পাকিস্তান ও চীন যোগ দিলে এ আমরা অবশ্যই সফল হবে।" লারিজানি বলেন, সন্ত্রাসবাদ নির্মূল এবং মাদক উৎপাদন ও চোরাচালান বন্ধের নামে আফগানিস্তানে সামরিক হামলা চালিয়েছিল আমেরিকা কিন্তু এ ক্ষেত্রে তারা কোনো সফলতা অর্জন করতে পারেনি। কিন্তু ইরান, তুরস্ক ও রাশিয়া সিরিয়ায় যে লড়াই চালাচ্ছে তা উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসের জন্য বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। আইএস সৃষ্টির জন্য তিনি আমেরিকাকে দায়ী করেন।
ফিলিস্তিনের বায়তুল মুকাদ্দাস শহরকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা সংক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে ড. লারিজানি বলেন, "বায়তুল মুকাদ্দাস শহরে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে নেয়ার এই ঘোষণার পেছনে তাদের কী উদ্দেশ্য রয়েছে? সবাই দেখেছেন ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সারা বিশ্ব প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। আমেরিকা এখন বিশ্ববাসীর কাছে শয়তানের প্রতীক হয়ে গেছে।
ইরানের স্পিকার বলেন, ইরাক ও সিরিয়ায় সন্ত্রাসবাদের ইস্যু এখনো সমাধান হয়ে যায় নি কিন্তু আমেরিকা বায়তুল মুকাদ্দাস নিয়ে নতুন ইস্যু সৃষ্টি করেছে। তবে বিশ্বের মানুষ ও ফিলিস্তিনের জনগণ নিশ্চয় চুপ করে বসে থাকবে না বরং নতুন ইন্তিফাদা শুরু হবে।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস