মরে গেলেন কিন্তু জেনে গেলেন না
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শুক্রবারের দুঃস্বপ্নের রাতের পর শনিবার সকাল। রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা। সন্ত্রাসী হামলার জায়গাগুলোতে রক্তের দাগ এখনো স্পষ্ট। নিহতদের স্মরণে ফুলের তোড়া রেখে গেছে অনেকে। ভয় আর আতংকে প্যারিস এখন জড়োসড়ো। প্যারিসের সেই সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক নোয়েমি গঞ্জালেস। এখনও পর্যন্ত তিনিই একমাত্র নিহত মার্কিনি। হামলায় ১২৯ জন নিহত ও ৩৫০ জন আহত হয়।
২৩ বছরের গঞ্জালেস গত সেপ্টেম্বরে প্যারিস যান। ফ্রান্সের ডিজাইন স্কুলের ছাত্রী ছিলেন। স্টারেট স্কুল অফ ডিজাইনের দেশ থেকে প্যারিসে ফেরার পর দারুণ এক খুশির খবর পান। গত ৭ অক্টোবর জানতে পারেন, তিনি এবং তার দল বৈশ্বিক ডিজাইন প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। খবর শুনে যারপনাই খুশি এবং সুখী ছিলেন গঞ্জালেস। কিন্তু সেই সুখ বেশি দীর্ঘস্থীয়ী হলো না তার।
হামলার সময় ‘লে পেতি কমবোজ রেস্তোরার’ সামনে ছিলেন নওমি। এসময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন। মৃত্যুর আগে তিনি সম্ভবত জেনেও গেলেন না কেন বা কারা তাকে হত্যা করলো। আর দুনিয়াই বা কেন এই পর্যায়ে এসেছে।
ভয়াবহ জঙ্গিহানার পরেই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা ফ্রান্সকে। পরিস্থিতি এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও আর কোনও জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে কি না, তার খোঁজে চলছে চিরুনি তল্লাশি। হামলার পর থেকে যে ভাবে এগিয়েছে পরিস্থিতি। গত জানুয়ারীতে শার্লি এবডো কার্টুন ম্যাগাজিনে হামলার পর প্রশ্ন উঠেছিল- প্যারিস এখন কতটা নিরাপদ। তবে এই প্রশ্ন সত্ত্বেও প্যারিস নিয়ে কিন্তু মানুষ আতংকে ভোগেনি। সেবারের হামলার লক্ষ্য ছিল কার্টুনিষ্টরা, ইহুদীরা।
১৫ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই
�