আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নিরাপত্তারক্ষীদের ছোড়া পেলেটে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছিল সে কিন্তু লড়াই থামায়নি। অবশেষে সেই লড়াইয়ের স্বীকৃতি পেল কাশ্মীরের ১৬ বছরের কিশোরী ইনসা মুস্তাক। দৃষ্টিশক্তি হারিয়েও দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষায় পাশ করল সে। আর রাজ্যের মেয়ের এই সংগ্রামকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ-সহ উপত্যকার প্রতিটি মানুষ।
গত বছর জুলাই মাসে বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকেই উত্তপ্ত কাশ্মীর উপত্যকা। যার রেশ এখনও রয়েছে। ধিকিধিকি করে জ্বলছে হিংসার আগুন। কিন্তু গত বছর এই আগুনই ভয়াবহ স্ফুলিঙ্গের আকার ধারণ করেছিল। আর সেই আগুনেই দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছিল ইনসা। বাড়ির জানলায় দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ দেখছিল সে। সে সময়েই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে নিরাপত্তাবাহিনীর। আর সেনার ছোড়া পেলেট বন্দুকের গুলি এসে লাগে ইনসার চোখে। তারপরই দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলে সে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় রেটিনা এবং অপটিক নার্ভ। দেশের সেরা হাসপাতালে ছ’বার অপারেশনের পরেও সুস্থ করা যায়নি ইনসাকে। ইনসার খবর গোটা দেশে আলোড়ন ফেলেছি। কাশ্মীরে সেনার কী পেলেট গান ব্যবহার করা উচিত? উঠে যায় প্রশ্ন। তবে এত কিছুর মাঝেও দমেনি ইনসা। শুরু হয় নতুন লড়াই। শেষপর্যন্ত নিজের প্রচেষ্টাতেই দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষাও পাশ করল সে।
আপাতত ইনসার লক্ষ্য পড়াশোনাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। বাড়ির মেয়ের সাফল্যে খুশি পরিবারের লোকজনও। ইনসার বাবা মুস্তাক আহমেদ লোন বলেন, ‘মেয়ে এত ভাল রেজাল্ট করবে আমরা এতটা ভাবতেই পারিনি। এই রেজাল্টের পর ও আরও অনুপ্রাণিত হবে।’ যদিও রেজাল্টে দেখা গিয়েছে ইনসাকে ফের একবার অঙ্ক পরীক্ষা দিতে হবে। এ প্রসঙ্গে সে জানিয়েছে, অঙ্ক আমার মূল বিষয়ের মধ্যে পড়ে না।-সংবাদ প্রতিদিন
এমটি নিউজ/এপি/ডিসি