আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সম্ভবত বর্তমানে ভারতে সবচেয়ে গরিব মুখ্যমন্ত্রী হলেন ত্রিপুরার মানিক সরকার। তার হাতে নগদ আছে ১৫২০ রুপি। একটি জাতীয় ব্যাংকে তার একাউন্টে জমা আছে ২৪১০ রুপি। নিজের বলতে কোনো বাড়ি নেই। গত ২০ বছর যাবত তিনি বসবাস করছেন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাকে বরাদ্দ দেয়া সরকারি বাসভবনে। তার নেই কোনো চাষযোগ্য জমি।
এমন কি তার কোনো মোবাইল ফোন নেই। নেই কোনো ইমেইল একাউন্ট। নেই কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের তার একাউন্ট। বিধানসভার নির্বাচনে দাখিল করা তার মনোনয়নপত্রে এসব তথ্য দিয়েছেন মানিক সরকার। তিনি ত্রিপুরা থেকে টানা পাঁচবারের মতো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এক্ষেত্রে দাখিল করা এফিডেভিটে তিনি জানিয়েছেন তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৩৯৩০ রুপি। বামপন্থি ৬৯ বছর বয়সী এই নেতা বেতন হিসেবে যা পান তার পুরোটাই দান করেন নিজের দল সিপিআই (এম)কে।
তবে দল থেকে তিনি তিনি ৫ হাজার রুপি ভাতা পেয়ে থাকেন। মানিক সরকার কখনো কোনো ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেন নি। এফিডেভিটে বলা হয়েছে, তার স্ত্রী পাঁচালি ভট্টাচার্য কেন্দ্রীয় সরকারের একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী। তার কাছে রয়েছে নগদ ২০১৪০ রুপি। এ ছাড়া দুটি ব্যাংক একাউন্টে আছে এক লাখ ২৪ হাজার ১০১ এবং ৮৬ হাজার ৪শত ৭৩ দশমিক ৭৮ রুপি। এ ছাড়া তার রয়েছে তিনটি ফিক্সড ডিপোজিট। একটি ২ লাখ রুপির। একটি ৫ লাখ রুপির। একটি ২.২৫ লাখ রুপির।
এ ছাড়া তার রয়েছে ২০ গ্রাম স্বর্ণালংকার। পাঁচালি ভট্টাচার্যের উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত ৮৮৮ দশমিক ৩৫ বর্গ ফুট এলাকার একটি জমি রয়েছে। এখন পর্যন্ত সেখানে অবকাঠামো নির্মাণ খাতে তিনি বিনিয়োগ করেছেন ১৫ লাখ রুপি। বর্তমানে তার ওই জমির মূল্য ২১ লাখ রুপি। সর্বশেষ তিনি আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েছিলে ২০১১-১২ অর্থ বছরে। তাতে তিনি আয় দেখিয়েছিলেন ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৭৭০ রুপি। তারপর থেকে তিনি আর কোনো আয়কর রিটার্ন জমা দেন নি। এ দম্পতির নেই কোনো সন্তান। উল্লেখ্য, বিধানসভার নির্বাচনে ধনপুর আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মানিক সরকার। তিনি সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এমটি নিউজ/এপি/ডিসি