আমেরিকার লেকে রহস্যে ভরা রেখাচিত্র
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, ১৯৯০ সাল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন স্টেটের একটি শুকনো লেকের উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় বিমানচালকিএকটি বিলে লক্ষ করেন, অদ্ভুত কিছু জ্যামিতিক আঁকিঝুকি। লেকের প্রায় সিকি মাইল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত সেই রেখারাশি। এক-একটা রেখার গভীরতা তিন ইঞ্চির কম নয়। তার আধঘণ্টা আগেও ওই এলাকা দিয়ে গিয়েছেন মিলের। কিন্তু, ওই ধরনের কোনও রেখাচিত্র তার নজরে পড়েনি। এই রেখাচিত্র আসলে 'শ্রী যাত্রার' প্রতিরূপ।
বিস্মিত বিল তা গোপন না করে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনেন। জানান, ওরেগনের বার্ন শহর থেকে ৭০ মাইল দূরে, অ্যালভোর্ড মরুভূমির পাহাড়-ঘেঁষা শুকিয়ে আসা লেকের বুকে দেখতে পেয়েছেন ওই জ্যামিতিক চিত্র।
এই কৌতূহল বা বিস্ময়ের সঙ্গেই একটা প্রশ্ন ঘুরতে থাকে, কে বা কারা ওই 'শ্রী যাত্রা'র প্রতিরূপ তৈরি করেছেন? তা-ও আবার লেকের বুকে! তা আজও রহস্যাবৃত।
বৈদিক লেখা থেকে জানা যায়, 'শ্রী যাত্রা' হল বিশেষ একধরনের ডিভাইস বা যন্ত্র। যার মধ্যে একটার সঙ্গে একটা লাগানো অবস্থায় মোটা ন'টা ত্রিভুজ রয়েছে। এর মধ্যে চারটে ত্রিভুজের মুখ ঊর্ধ্বে, এরা শিবের প্রতিনিধিত্ব করছে। ওই ঊর্ধ্বমুখী ত্রিভুজের মধ্য দিয়েই রয়েছে আরও চারটি নিম্নমুখী ত্রিভুজ, যারা শক্তির প্রতীক। ওই ন'টি ত্রিভুজ থেকেই ছোট ছোট আরও ৪৩টি ত্রিভুজ তৈরি হয়েছে। এই ত্রিভুজগুলোকে ঘিরে রেখেছে বৃত্ত, পরপর দুটি স্তরে। তা সাজনো অসংখ্য পদ্মের পাপড়িতে। এটাই শ্রী যন্ত্রের নকশা। বলা হয়, শ্রী যন্ত্র হল ওঁম-এর ভিস্যুয়াল উপস্থাপন।
ওরেগন স্টেটে এই 'শ্রী যন্ত্র'-এর দেখা মেলার পরেই সেখানে গিয়েছিলেন দুই গবেষক ডন নিউম্যান ও আ্যালান ডেকার। উদ্দেশ্য ছিল, শুকনো ও লেকের বুকে কেউ বা কারা ওই শ্রী যন্ত্রের ছবি এঁকেছেন কি না, তার তত্ত্বতালাশ করা। কিন্তু, সেখানে, সেই লেকের বুকে একজন মানুষেরও পায়ের ছাপ পাননি ওই দুই গবেষক। তা হলে, এই শ্রী যন্ত্র বানাল কে? সেই রহস্যোদ্ধার আজও হয়নি।
২০, নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমইউ