জাতীয় পতাকা পাল্টাতে নিউজিল্যান্ডে ভোট
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতীয় পতাকা বদলাতে আগ্রহী নিউজিল্যান্ডে। নিজেদের পতাকা থেকে ব্রিটিশ ইউনিয়নের চিহ্ন সরিয়ে ফেলা যায় কি না, জানতে শুক্রবার দেশজুড়ে শুরু হল নির্বাচন। ব্যালটে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতীক নয়, রয়েছে পর পর ৬টি প্রস্তাবিত পতাকার নকসা। এর মধ্যে কোনটি শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের জাতীয় পতাকা হিসাবে নির্বাচিত হবে তা জানতে শুক্রবার থেকে ভোট দেওয়া শুরু করেছেন দেশবাসী। এই দফার নির্বাচনের রায় জানার পর ফের ২০১৬ সালের মার্চ মাসে হবে দ্বিতীয় দফার ভোটপর্ব। দুই নির্বাচনের ফলের ভিত্তিতেই নতুন জাতীয় পতাকা পেতে চলেছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্রটি।
২০১৪ সালে তৃতীয় বার নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জাতীয় পতাকা পরিবর্তনের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছেন প্রধানমন্ত্রী জন কি। তার দাবি, বর্তমান জাতীয় পতাকায় ব্রিটিশ প্রভূত্বের স্মারক ইউনিয়ন জ্যাক-এর উপস্থিতি কালোত্তীর্ণ নয়। তাই তার গুরুত্ব হারিয়েছে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় পতাকার সঙ্গে বেশ কিছু মিল থাকার বিষয়টি নিয়েও তিনি মুখর হয়েছেন। এই কারণে নিউ জিল্যেন্ডেের নিজস্ব বৈশিষ্ট সংবলিত পতাকার পক্ষে প্রশ্ন করছেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতীয় পতাকা বাছার প্রথম দফার নির্বাচনে ৪৫ লক্ষ দেশবাসীর জন্য প্রায় ৩০ লক্ষ ব্যালট ডাকযোগে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পে খরচ হয়েছে আড়াই কোটি নিউ জিল্যেন্ডে ডলার।
অন্যদিকে, জাতীয় পতাকায় পরিবর্তন আনার ঘোর বিরোধী অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের সংগঠন আরএসএ (রিটার্নড অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশন)। তাদের অভিযোগ, পতাকা পরিবর্তনের নামে অহেতুক জনসাধারণের অর্থ অপচয় করা হচ্ছে। তা ছাড়া, বর্তমান পতাকায় স্বাধীনতা যুদ্ধের শহিদদের প্রতি সম্মান জানানো হয়েছে বলেও তা বদলানোর বিরুদ্ধে তারা। এর জেরে সংগঠনের তরফে ভোট বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ব্যালটে মোট ৬টি পতাকার নকসা ছাপানো হয়েছে। এর মধ্যে একটি বর্তমান জাতীয় পতাকা। বাকি ৪টিতে নিউ জিল্যেন্ডেের বেসরকারি জাতীয় প্রতীক ফার্ন আঁকা হয়েছে। পঞ্চম নক্সায় রয়েছে কালো-নীল-লাল ৩টি ত্রিভুজ এবং একটি উঁচু-নীচু সাদা লাইন। নিউ জিল্যেন্ডেের বর্তমান জাতীয় পতাকাটি ১৯ শতকের গোড়ায় তৈরি হয়। সেই সময় ইংল্যান্ডের কলোনি হিসাবে পরিচিত ছিল। বর্তমানেও দেশের আলহ্কারিক প্রধান ইংল্যান্ডের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
২০ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই
�