আন্তর্জাতিক ডেস্ক : স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পরে শ্বশুরবাড়িতে খবর পাঠিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা জানান, তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই উধাও হয়ে গেলেন স্বামী।
কলকাতার নিউটাউন এলাকার যাত্রাগাছিতে রোববার বিকালে তিথি কীর্তনীয়া (২৮) নামে এক মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, তিথির দেহ ঘরের দরজা ভেঙে উদ্ধার করেন তার স্বামী মুকুল মণ্ডল।
তিথির বাপের বাড়ির লোকজন জানান, বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে তিথিকে মৃত ঘোষণা করার খানিক্ষণের মধ্যেই মুকুল উধাও হয়ে যান। এমনকী, তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ রয়েছে বলেই দাবি করেছেন তিথির বোন সুচিত্রা মাইতি।
সোমবার সন্ধ্যায় তিথির অন্ত্যেষ্টিতেও মুকুল হাজির ছিলেন না বলেই জানিয়েছেন তার বাবা সুধাংশু কীর্তনীয়া। তিনি বলেন, ‘আমার কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। আমি মেয়ের অন্ত্যেষ্টিতে ব্যস্ত রয়েছি।’
নিউটাউন থানা জানিয়েছে, তিথির পরিবারের কেউ থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরিবার সূত্রের খবর, দু’বছর আগে তিথির বিয়ে হয় মুকুলের সঙ্গে। মুকুল ছোটখাটো কাজ করতেন। তার আগে মুকুল চাকরি সূত্রে কেরালা থাকতেন।
তিথির বোন সুচিত্রার কথায়, ‘গৌরাঙ্গনগরে তিথির এক পাতানো ভাইয়ের বন্ধু ছিল মুকুল। সেই সুবাদে তিথির সঙ্গে পরিচয় হয়। তিথির ইচ্ছেতেই মুকুলের সঙ্গে ওর বিয়ে হয়েছিল।’ নিউটাউনের নন্দননগরের বাসিন্দা তিথি ও তার পরিবার আদতে বাংলাদেশি। মুকুলের পরিবারও বাংলাদেশে থাকেন বলেই জানিয়েছেন তিথির বাপের বাড়ির লোকজন।
তিথির পরিবারের কয়েকজনের দাবি, দু’বছর বিয়ের পরেও তিথির সন্তান না হওয়ায় মুকুলের সঙ্গে অশান্তি চলছিল। রবিবারও ঝগড়া হয়েছে। তার জেরেই তিথি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে ধারণা তার বাপের বাড়ির লোকজনের। তিথির মৃত্যুর পরে তার পরিবারের প্রশ্ন, কী এমন ঘটল যে স্ত্রী’র মৃত্যুর খবর শুনেও স্বামী উধাও হয়ে গেলেন!
এমটিনিউজ/এসএস