রবিবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৫, ০৫:১১:৫১

লাদেনের মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস

 লাদেনের মৃত্যু নিয়ে  চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইয়েমেনি বংশোদ্ভুত স্ত্রী আমাল সাদ্দাহ নতুন তথ্য দিয়ে বলেছেন আগের প্রচারিত ঘটনাগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা- বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছেন। লাদেনের মৃতদেহ সমুদ্রে ভাসিয়ে দেয়ার মার্কিন তথ্যকে একেবারেই গুজব বললেন তিনি। সাদ্দাহ দাবি করে বলেন, তার স্বামী ওসামা বিন লাদেনের লাশ তারা নিয়ে যেতে পারেনি। বরং এ্যাবটাবাদেই তার লাশ মাটির সঙ্গে মিশে গেছে বলে উল্লেখ করেন। এ নিয়ে নতুন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বিতর্কের মধ্যে ফেলে দিয়েছেন আমাল সাদ্দাহ। ফলে এ ধরনের তথ্যে বিশ্বব্যাপী নতুর করে হৈ চৈ পড়ে গেছে। আমাল সাদ্দাহ সম্প্রতি সৌদি আরবের ‘উকাজ’ নামে একটি পত্রিকার সাক্ষাৎকারে বোমা ফাটানোর মতো এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করেন। সাদ্দাহ আমাল বলেন, নিহতের পর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সব বক্তব্যই মিথ্যা ছিল। বিন লাদেনকে নিয়ে যে ইচ্ছা ছিল ওবামার সেটাও পূরণ হয়নি। ওবামা ও হোয়াইট হাউজ চেয়েছিলেন, শায়েখের লাশ আমেরিকায় নিয়ে যাবেন এবং লাশ সামনে রেখে বিশ্বকে দেখাবেন তিনি সফল। কিন্তু আল্লাহ তার ইচ্ছা পূরণ হতে দেননি। আল্লাহ তার লাশকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছেন যাতে লাশ নিয়ে কেউ কিছু করতে না পারে। তবে তিনি ওসামা বিন লাদেনকে শায়েখ উল্লেখ করে বলেন, শায়েখের হত্যা মিশনে আমেরিকার সেনাদের সঙ্গে পাকিস্তানের সেনারাও ছিল। দুই দেশের যৌথ অভিযানেই তিনি শহীদ হন। লাদেনের স্ত্রী আরো বলেন, শায়েখকে হত্যা মিশনের সময় আমি সঙ্গেই ছিলাম। আমরা দেখলাম হঠাৎ করে হেলিকপ্টার থেকে এ্যাবটাবাদের বাড়ি ঘিরে ফেলেছে সৈন্যরা। চারপাশ থেকে গুলি আসছে। শায়েখ তখন অস্ত্র হাতে নিলেন এবং দরজার পাশে দাঁড়িয়ে তাদের মোকাবিলা করছিলেন। কিন্তু তরা সংখ্যায় ছিল অনেক। যার কারণে একা কুলিয়ে উঠতে পারেননি। এছাড়া তিনি বলেন, আমি শায়েখের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। হঠাৎ একটা গুলি এসে শায়েখের মাথায় লাগে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি মাটিতে পড়ে যান এবং মুহূর্তেই শহীদ হন। আমাল বলেন, এটা আল্লাহ পাকের বড় রহমত ছিল। শায়েখের মৃত্যু হয়েছে খুব অল্প সময়ে এবং কোনো কষ্টই হয়নি। সৈন্যরা ঘরে ঢুকেই দেখে তিনি শহীদ হয়ে গেছেন। তারা শায়েখের লাশ খুব দ্রুত হেলিকপ্টারে উঠায়। সৈন্যরাও হেলিকপ্টারে উঠে এবং দ্রুত হেলিকপ্টার ছেড়ে দেয়। কিন্তু হেলিকপ্টারটি সামান্য উপরে উঠতেই ভয়ঙ্কর বিষ্ফোরণের শিকার হয়। এতে হেলিকপ্টারে থাকা সব সৈন্যই নিহত হয়। শায়েখের লাশ মাটিতে মিশে যায়। সেখানে কেবল হেলিকপ্টারের ছোট ছোট কিছু টুকরো পাওয়া যায়। এই সাক্ষাৎকারটিতে আমাল সাদ্দাহ জোর দিয়েই দাবি করে বলেন, ওসামার লাশ সমুদ্রে ভাসিয়ে দেয়ার যে ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে তা পুরোটাই মিথ্যা। যা অকল্পনীয়। তার লাশ আমেরিকায় নিয়ে যেতে না পেরেই এসব গুজব ছড়িয়েছে। আসলে আল্লাহ ওসামা বিন লাদেনকে মৃত্যুর আগে এবং পরে দুই অবস্থায়ই শত্রুর কাছ থেকে হেফাজত করেছেন। এ জন্য তিনি মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন।- উর্দু টাইমস। ২২, নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমইউ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে