মঙ্গলবার, ২৭ মার্চ, ২০১৮, ০৯:৫০:১৬

ফেসবুকে অন্তত ৩ লক্ষ ‘আসল’ লাইক চাই, সাংসদদের নির্দেশ মোদির

ফেসবুকে অন্তত ৩ লক্ষ ‘আসল’ লাইক চাই, সাংসদদের নির্দেশ মোদির

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফেসবুক, অ্যাপ থেকে তথ্য চুরি নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষের শিকার হতে হচ্ছে৷ তবে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের জন্য ডিজিটাল দুনিয়ার উপরই ভরসা রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ৷ শোনা গিয়েছে, দলের প্রত্যেকের সাংসদের ফেসবুক প্রোফাইলে যেন অন্তত তিন লক্ষ লাইক থাকে৷ এই নির্দেশই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ আর এই লাইক-এর মধ্যে যেন কোনও ফেক প্রোফাইল না থাকে এবং তা যেন টাকার মাধ্যমে কেনা না হয়, এমনটাই জানানো হয়েছে৷

কিছুদিন আগেই একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, বিশ্বের বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রীদের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে যে পরিমাণ লাইক রয়েছে৷ তার বেশিরভাগই হয় কেনা, নয়তো ফেক প্রোফাইল থেকে করা৷ কিন্তু পরে এই খবরের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকে৷ এ বিষয়টি হালকাভাবে নিতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব৷ কারণ বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াই মানুষের কাছে পৌঁছানোর সবচেয়ে কার্যকরী উপায় বলেই বিশ্বাস মোদি-শাহ জুটির৷

এ কারণেই শুক্রবার রাজধানী দিল্লিতে দলীয় সভায় বিষয়টি ওঠে৷ সূত্রের খবর, প্রথমে প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক সাংসদকে প্রশ্ন করেন কারা ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয়৷ এই প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই হাত তুলে জানান দেন নিজেদের ভারচুয়াল উপস্থিতির কথা৷

এরপরই মোদি জানতে চান কতজনের প্রোফাইলে তিন লক্ষ ‘আসল’ লাইক রয়েছে৷ খব কম জনেরই হাত ওঠে৷ প্রত্যেককে প্রধানমন্ত্রী পরামর্শ দেন সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও বেশি সক্রিয় হতে৷ আর নিজেদের প্রোফাইলে ‘আসল’ লাইকের সংখ্যা অন্তত তিন লক্ষ পর্যন্ত নিয়ে যেতে৷ প্রয়োজনে নিজের এলাকার প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিও কলের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে বলা হয়৷

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ফেসবুক থেকে তথ্য চুরির সত্য প্রকাশ্যে আসে৷ প্রায় ৫০ মিলিয়ন গ্রাহকের তথ্য চুরি করে মার্কিন নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল ‘কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা’র বিরুদ্ধে। তথ্য চুরির দায় কার্যত স্বীকার করে নেন ফেসবুকের সিইও মার্ক জুকারবার্গ। আশ্বাস দেন, এহেন অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে আরও কড়া হবে ফেসবুক।

এই ঘটনার আঁচ পড়ে জাতীয় রাজনীতিতেও। কংগ্রেসের সঙ্গে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার সংযোগ নিয়ে সরব হয় বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে পালটা তোপ দাগেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। বলেন, মসুল থেকে নজর ঘোরাতেই এইসব গপ্পোর আমদানি করা হচ্ছে। দুই পক্ষের এই তরজা এখনও চলছে। তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে ডিজিটাল মিডিয়ার উপরই ভরসা রাখছেন মোদি-শাহ জুটি।-সংবাদ প্রতিদিন
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে