আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, ‘ভারত একদিন আবর্জনার নিচে তলিয়ে যাবে।’ মঙ্গলবার সর্বোচ্চ আদালত এ মন্তব্য করেন। ভারতে নিরেট বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে আদালত এ মন্তব্য করেন।
আদালত বলেন, সেদিন বেশি দূরে নয়, যখন নয়াদিল্লির ঘাজিপুর এলাকায় ৭৩ মিটার কুতুব মিনারের সমান আবর্জনার স্তূপ তৈরি হবে। আদালত আরও বলেন, তখন উড়োজাহাজকে আবর্জনার উঁচু স্তূপ চেনাতেও লাল রঙের আলো ব্যবহার করতে হবে।
বিচারক বেঞ্চের সদস্য এম বি লোকুর ও দীপক গুপ্ত বলেন, ‘আমরা আদেশ দিয়েই যাচ্ছি। কিন্তু নিরেট বর্জ্য ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত আদেশ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। যখন কেউ তা বাস্তবায়নের চেষ্টাই করছে না, তখন আদেশ দিয়ে আর কি লাভ! একদিন ভারত আবর্জনার নিচে তলিয়ে যাবে।’
পিটিআইয়ের খবরে বলা হয়েছে, আদালত এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নীতিমালা তৈরি করতে রাজ্যগুলো ও কেন্দ্রীয় এলাকার কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে এ-সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরি করতে বলেছেন আদালত।
আদালতে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কলিন গনজালভেস। তিনি বলেছেন, তিন থেকে চার মাসের মধ্যে যদি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কাঙ্ক্ষিত পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়, তবে তা আদালত অবমাননার শামিল হবে। নিরেট বর্জ্য ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত নিয়মাবলি খুবই বিস্তৃত এবং দিল্লি এরই মধ্যে এগুলো বাস্তবায়ন করা শুরু করেছে।
২০১৬ সালে নিরেট বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আইন পাস করা হয়। ভারতজুড়ে এ আইন কার্যকর করা হয়। এ-সংক্রান্ত একটি বিষয় নিয়েই সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চে শুনানি হচ্ছে। গত বছরের ডিসেম্বরে নিরেট বর্জ্য ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত নিয়মাবলি রাজ্যগুলোতে কার্যকরের জন্য আদালত কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
আদালত তখন বলেছিলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত নীতিমালা কার্যকর না করার জন্যই ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার মতো রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে সতর্ক করেছিলেন আদালত। ওই সময় আদালত বলেছিলেন, ‘আবর্জনা সংগ্রহ করা আদালতের কাজ নয়।’
এমটিনিউজ/এসএস