আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শীতল যুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নকে মোকাবেলায় পশ্চিমা দেশগুলোর অনুরোধে সৌদি আরবের অর্থায়নে ওয়াহাবিবাদের বিস্তার ঘটানো হয়েছে। সৌদি সিংহাসনের উত্তরসূরি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ওয়াশিংটন পোস্টকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, শীতল যুদ্ধের সময় দেশের বাইরে বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসায় তহবিল সরবরাহে পশ্চিমা মিত্ররা সৌদি আরবকে অনুরোধ করেছিল। মুসলিম দেশগুলোতে যাতে সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্যই এমনটা করতে বলা হয়েছিল।
তিনি বলেন, পরবর্তী সৌদি সরকারগুলো সেই ধারা থেকে বিচ্যুত হয়েছে। কিন্তু আমাদের আগের ধারায় ফিরে আসা উচিত ছিল। বর্তমানে সৌদি সরকার সরাসরি সেই তহবিল না দিয়ে বিভিন্ন ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দেয়ার ব্যবস্থা করছে।
গত ২২ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র সফরের শেষ দিনে মোহাম্মদ বিন সালমান ওয়াশিংটন পোস্টকে ৭৫ মিনিট ধরে এই সাক্ষাৎকার দেন।
হোয়াইট হাউসের সিনিয়র উপদেষ্টা জারেড কুশনার আমার পকেটে বলে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, তা নিয়েও কথা বলেন সৌদি প্রিন্স।
গত বছরের অক্টোবরে রিয়াদে তিনি যখন জারেড কুশনারের সঙ্গে বৈঠক করেন, তখন দুর্নীতির অভিযোগে ব্যাপক ধরপাকড়ের জন্য তার কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেয়েছিলেন।
মোহম্মদ বিন সালমান বলেন, ওই ধরপাকড় ছিল পুরোটা অভ্যন্তরীণ বিষয়। কয়েক বছর ধরে এ নিয়ে পরিকল্পনা চলছিল। কুশনারের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই বলে তিনি জানান।
কুশনারের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, স্বাভাবিক সরকারি কার্যক্রমের প্রসঙ্গে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তবে তাদের মধ্যে অংশিদারত্বের চেয়ে বন্ধুত্বসুলভ সম্পর্কটাই বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সসহ হোয়াইট হাউরেস অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে বলে ওয়াশিংটন পোস্টকে জানান তিনি।
তবে ইয়েমেনে মানবিক সংকট কাটিয়ে ওঠার সুযোগ দিচ্ছেন না বলেও জানিয়েছেন মোহাম্মদ বিন সালমান। তিনি বলেন, সেখানে ভালো বিকল্প কিংবা খারাপ বিকল্পের কথা ভাবার সুযোগ নেই। সেখানে ভালো ও নিকৃষ্টের বিকল্প নিয়ে কথা হচ্ছে।
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস