মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৫, ০৫:০৬:২৩

নিজেই যুদ্ধবিমান পরিচালনা করছেন পুতিন

নিজেই যুদ্ধবিমান পরিচালনা করছেন পুতিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের সর্বাধুনিক আবিষ্কারটি দেখলে যে কেউই চমকে উঠতে বাধ্য। কোটি কোটি ডলার খরচ করে একটি নতুন, ত্রিস্তরীয় ওয়ার রুম খুলেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়। যেখানে বসে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অনায়াসে বিশ্বের যেখানে যেখানে রুশ সামরিক অভিযান চলছে তার প্রতিটি খুঁটিনাটি দেখতে পাবেন। এবং এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরাসরি নজরদারিতে। দামেস্ক সরকারের অনুরোধে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে এ অভিযান পরিচালনা করছে রুশ বিমান বাহিনী। এর ফলে গত চার বছর ধরে চলমান সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধের মোড় ঘুরে গেছে এবং দেশের প্রায় সব ফ্রন্টেই সিরিয়ার সেনাবাহিনীর অগ্রাভিযান চলছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। দুর্ভেদ্য দুর্গের মতো এই ওয়ার রুমের পোশাকি নাম ন্যাশনাল কন্ট্রোল ডিফেন্স সেন্টার। ওয়াশিংটন পোস্টের দাবি, গত মাসে রুশ বিমান বিস্ফোরণে ২২৪ জন নাগরিকের মৃত্যুর নিশ্চিত খবর পাওয়ার পরেই এই ওয়ার রুমকে চূড়ান্তরূপে বাস্তবায়িত করে ফেলেন পুতিন। কেমন দেখতে সেই ওয়ার রুম? ছবিগুলি দেখলেই বুঝতেই পারবেন। ওয়ার রুমের মূল স্ত্রিনটি দৈত্যাকার। ওই স্ক্রিনে সিরিয়ার উপর রুশ বিমানের ছোঁড়া প্রতিটি লং রেঞ্জ মিসাইলের গতিপথ দেখা যাবে। জঙ্গিবিরোধী সমস্ত কার্যকলাপ এক জায়গায় বসে নজরে রাখতেই এই সর্বাধুনিক ওয়ার রুম খোলা হয়েছে। রুশ বিশেষজ্ঞরা এ দাবি করলেও মার্কিন গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, রুশ মিলিটারির এই নার্ভ সেন্টার বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে রুশ আগ্রাসনের লক্ষ্যেই তৈরি করা হয়েছে। এমনকী, নিউক্লিয়ার হামলা বা ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলার সময়ও পুতিন আগাগোড়া এই ওয়ার রুমে বসেই ধ্বংসলীলার যাবতীয় খুঁটিনাটি নিয়েও নির্দেশ দিতে পারবেন। ওয়াশিংটন পোস্টের দাবি, নয়া ওয়ার রুমটি পেন্টাগনের ইউএস ন্যাশনাল মিলিটারি কমান্ড সেন্টারের সমতুল। যদিও রুশ ম্যাপে নয়া সেন্টারটির কোনও অস্তিত্ব নেই। মার্কিন গোয়েন্দাদের কাছে খবর, আন্ডারগ্রাউন্ড টানেলে সাপের মতো এঁকেবেকে তৈরি হয়েছে এই ওয়ার রুম। অন্তত স্যাটেলাইট ইমেজ থেকে এটুকুই বোঝা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, মস্কো নদীর বাঁ দিকে, রেড স্কোয়ার থেকে দুই মাইল দূরত্বে বানানো হয়েছে এই ওয়ার রুম। ২০১৪ সালেই এই ওয়ার রুম তৈরির কাজ শেষ হয়েছিল। কয়েকশো বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে এটি তৈরি করতে। ওয়ার রুমের মাথায় রয়েছে একটি হেলিপ্যাড। রুশ বিমানবাহিনীর এমআই ৮ হেলিকপ্টার ওঠানামা করে সেখানে। এক রুশ সাংবাদিকের দাবি, ওয়ার রুমে ঢোকার জন্য খোদ প্রেসিডেন্টের অনুমতি লাগে। আর ভিতরটা যেমন দেখতে ও অত্যাধুনিক যন্ত্রে ঠাসা, তা আমেরিকা কল্পনাও করতে পারবেন না। রুশ সেনার শীর্ষকর্তারা প্রত্যহই সেখানে বসেন। ২৪ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে