বিমান বন্দরে লেজার হামলা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিমান বন্দরে নিরাপদেই অবতরণ করছিল বিমানটি। ঘটনাস্থল হল লন্ডনের ব্যস্তময় হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। অবতরনের পর লেজারের তীব্র আলোয় ক্ষতিগ্রস্ত হয় ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের এক সহকারী বিমান-চালকের চোখ। আলোর তীব্রতা এতটাই বেশী ছিল যে দৃষ্টিশক্তি হারাতে বসেছেন ওই বিমান চালক। তবে পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে জখম সহকারী ওই চালকের।
লন্ডনের বিমান বন্দরে এই ঘটনার কথা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিমান চালক মহলে। এত শক্তিশালী লেজার কে বা কারা আনল আর সেটা বিমানবন্দরের মতো জনবহুল জায়গায় ব্যবহারই বা কী উদ্দেশ্যে করা হল, সেইসব প্রশ্নগুলিই এখন ভাবাচ্ছে সকলকে।
ব্রিটিশ এয়ারলাইন পাইলটস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জিম ম্যাকআসলান জানান, বিমানটি হিথরো বিমানবন্দরে ঠিক সময়েই নামছিল। তখন ককপিটে ছিলেন আক্রান্ত ওই সহকারী বিমান-চালক। অভিযোগ, সেই সময় ককপিটের কাঁচ ভেদ করে এক ধরনের লেজার আলো ঢোকে। সেই আলোতেই চোখের ক্ষতি হয় তার। সম্ভবত সামরিকবাহিনিতে যে মাত্রার লেজার ব্যবহার করা হয়, এ ক্ষেত্রে সেই একই রকমের লেজার ব্যবহার করা হয়েছিল। চোখের ক্ষতি পরিমান এতটাই ছিল যে ওই ঘটনার পর পরই সরাসার তাকে উত্তর লন্ডনের শেফিল্ডে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। এই লেজারের আলোর ফলে বিমান চালকের একটি চোখের রেটিনা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত কাজে যোগ দিতে পারেননি ওই ব্যক্তি।
এই ঘটনার পরই আতঙ্কিত বিমান বন্দরের বিমান চালকরা। ইদানিং শক্তিশালী লেজারের সাহায্যে বিমান বন্দরে অবস্থিত বিমান-চালকদের বিরুদ্ধে লেজার হানা ক্রমশ বাড়ছে। তাই লেজার হানায় চোখের রেটিনা হারালে কী ভাবে কাজ করবেন ভেবেই চিন্তিত তারা। বিমানবন্দরে এই লেজার কিভাবে এল এবং কী কারণে আনা হয়েছে এই রহস্যের সমাধানে জন্য ইতিমধ্যে তদন্ত কমিশনও গঠন করাছে বিমান বন্দর কর্তৃপ্ক্ষ।
২৫, নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমইউ