বোরখা পরলেই এক লাখ!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মুসলিম ধর্ম মতে নারী-পুরুষের পর্দা করা ফরয। সেই মতে নারীর পর্দা করার প্রধান মাধ্যম হলো বোরকা পরা। এবার নারীদের সেই বোরকা পরার উপরই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সুইৎজারল্যান্ডের তিসিনো ক্যানটন বা প্রদেশের নতুন আইনে বলা হয়েছে, কোনও নারীকে যদি বোরখা পরা অবস্থায় দেখে তাহলেই তাকে বাংলাদেশি টাকার হিসেবে প্রায় এক লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। কলকাতা ২৪-এর এক প্রতিবেদনে এখবর দিয়েছে।
এই নতুন আইনে বলা হয়েছে, রেস্টুরেন্ট অথবা শপিং মলে কোনও মুসলিম নারী বোরখা পরে কাজ করতে পারবেন না। ২০১৩ সালে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা এবং সাম্প্রতিক আইএসআইএস নাশকতার কারণেই সুইৎজারল্যান্ডের তিসিনো ক্যানটনের প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়া হয়েছে।
স্থানীয় একটি গণমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখোশের আড়ালে কেউ যাতে কোনও অবৈধ কাজ করতে না পারে, তার জন্যই এই ব্যবস্থা নিয়েছে তিসিনো প্রশাসন। কেউ যদি মুখাবরণ, মস্তকাবরণ অথবা বোরখা পরে তাহলে তাকে ৬৫ পাউন্ড থেকে ৬৫০০ পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানা দিতে হবে।
উল্লেখ্য, ফ্রান্সেও বেশ কিছু বছর যাবৎ এই ধরনের হিজাব-নিকাব বিরোধী আইন বলবৎ হয়েছে, তবে সেখানে জরিমানা দিতে হয় ৩৫ পাউন্ড। বিভিন্ন কট্টরপন্থী ইসলামি গোষ্ঠীগুলির প্রতিবাদ উপেক্ষা করেই ২০১০ সালে ফ্রান্সের সরকার বোরখা ও হিজাবের উপর ওই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। এই মুহূর্তে পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলির মধ্যে ফ্রান্সেই সর্বাধিক সংখ্যক মুসলিমের বাস। গত বছর বোরখা-হিজাবের উপর নিষিধাজ্ঞার বিষয়টি ইউরোপীয় আদালতেও উত্থাপিত হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা তুমুল হইচই করায় তৎকালীন ইউরোপীয় আদালত আইনটি গোটা ইউরোপ জুড়ে গ্রাহ্য করার পক্ষে রায় দিতে পারেনি।
২৫ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই
�