ব্রিটেনে মার্কিন গোয়েন্দা ঘাঁটি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ব্রিটেনের একটি সামরিক ছাউনিকে গোয়েন্দা ঘাঁটি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ৩১ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি ব্যয় করছে ওবামা প্রশাসন। আরএএফ ক্রোটন নামের ব্রিটিশ রাজকীয় বিমানবাহিনীর এই ঘাঁটিটিকে মার্কিন ভূখণ্ডের বাইরে সর্ববৃহৎ মার্কিন গোয়েন্দা ঘাঁটিতে পরিণত করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
মার্কিন গোয়েন্দা ঘাঁটি হিসাবে ইংল্যান্ডের নর্দাম্পটনশায়ারে অবস্থিত ব্রিটিশ বিমানবাহিনীর এই ছাউনির পুনর্গঠনের কাজ ২০১৭ সালে মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। আরএএফ ক্রোটনের এই ঘাঁটি থেকে মূলত আফ্রিকা মহাদেশে মার্কিন গোয়েন্দা তৎপরতা চালানো হবে। এই ঘাঁটিতে ব্রিটেনের গোয়েন্দা প্রতিনিধিসহ আরো মোট ১,২৫০ অফিসারকে নিয়োগ করা হবে এবং এর মধ্যে ব্রিটিশ সরকারের আড়িপাতার সদর দফতর গভর্নমেন্ট কমিউনিকেশনস হেডকোয়ার্টার্সের (জিসিএইচকিউ) প্রতিনিধিরাও থাকবেন বলে মনে করা হচ্ছে। ঘাঁটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর এটি বিশ্বমানের যুদ্ধ সহায়তাদানের উপযুক্ত কেন্দ্র হয়ে উঠবে আশা করছে মার্কিন প্রশাসন।
বর্তমানে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) কর্মী-এজেন্টদের যোগাযোগের রিলে স্টেশন হিসেবে এই ঘাঁটি ব্যবহৃত হচ্ছে। ইয়েমেনে মার্কিন ড্রোন হামলা মূলত এই আরএএফ ক্রোটন ঘাঁটি থেকেই চালানো হয় বলে অনুমান। এ ছাড়া, পশ্চিম এশিয়া ও আফ্রিকায় ড্রোন হামলার সমন্বয়ের কাজও এখান থেকেই হয়ে থাকে। এই ঘাঁটির সঙ্গে জিসিএইচকিউ-র সরাসরি যোগাযোগ আছে বলেও অনেকে মনে করেন। এছাড়া অন্য যে কোনও শক্তিশালী দেশের দূতাবাসগুলির মতো বিশ্বজুড়ে মার্কিন দূতাবাসগুলিতেও আমেরিকার প্রশাসনের গোয়েন্দা ঘাঁটি রয়েছে। দুনিয়াজোড়া এইসব ঘাঁটি থেকে যে সব গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ হয় তা রয়্যাল এয়ারফোর্স ক্রোটনের মাধ্যমে ওয়াশিংটনে পাঠানো হয়।
২৬, নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমইউ