যা বললেন সেই বিধ্বস্ত বিমানের উদ্ধারকৃত পাইলট
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কয়েক দিন আগে তুরস্কের আকাশসীমা লঙ্ঘনের দায়ে রাশিয়ার একটি যুদ্ধ বিমান ভুপাতিত করে তুরস্ক। আর সেই বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগেই প্রাণে বাঁছেন বিমানে থাকা দুই পাইলট। ভূপাতিত হওয়া রুশ বিমানের উদ্ধারকৃত কো-পাইলট কনস্তানতিন মুরাতিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এক সেকেন্ডের জন্যও তুরস্কের আকাশসীমা লঙ্ঘন করা হয় নি। এমনকি বিমানটি ভূপাতিত করার আগে তুরস্কের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের রেডিও সিগন্যাল কিংবা দৃশ্যমান সতর্ক বার্তাও দেয়া হয় নি’। রেডিও তেহরানের এক প্রতিবেদনে এখবর দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিমান ভূপাতিত করার আগে কোনো রকমের যোগাযোগ করে নি তুরস্ক। সে কারণে আমরা আমাদের অভিযান স্বাভাবিকভাবেই পরিচালনা করছিলাম। যদি তারা আমাদেরকে সতর্ক করতে চাইত তাহলে তারা আমাদের সমান্তরালে আসত। কিন্তু এ রকম কিছুই হয় নি এবং অপ্রত্যাশিতভাবে রকেট এসে বিমানে পেছনে আঘাত করে। এমনকি আমরা তা সময়মতো দেখতেও পারি নি যে, রকেট এড়ানোর চেষ্টা করব’।
বিমানের কো-পাইলট জোর দিয়ে বলেন, ‘রকেট আঘাত হানার সময় কোনোভাবেই তুরস্কের আকাশসীমা লঙ্ঘন করা হয় নি’। তিনি বলেন, ‘যে এলাকায় বোমা হামলা চালানো হচ্ছিল তা ছিল বিমানের পাইলটের কাছে খুবই পরিচিত। বোমা হামলা শেষে পূর্ব নির্ধারিত রুটেই আমরা ঘাঁটিতে ফিরে আসছিলাম। এ রুট এতটাই পরিচিত হয়ে গেছে যে, আমরা চোখ বন্ধ করে ফিরে আসতে পারতাম’। কো-পাইলট মুরাতিন জানান, তিনি সিরিয়াতে থেকে রুশ বিমান বাহিনীতে কাজ করতে চান। তিনি বলেন, ডাক্তারের কাছ থেকে পরিপূর্ণভাবে মুক্ত হওয়া পর্যন্ত আমি অপেক্ষা করতে পারব না; তার আগেই আমি আমার র্যাংকে ফিরে যেতে চায়। আমি আমার ঘাঁটি কমান্ডারকে বলব, তিনি যেন আমাকে এ ঘাঁটিতেই রাখেন। রুশ পাইলট নিজের কমান্ডারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
গত মঙ্গলবার সিরিয়ার আকাশসীমায় তুরস্কের হামলায় একটি রুশ সুখোই-২৪ জঙ্গিবিমান ভূপাতিত হয়। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তুরস্কের একটি এফ-১৬ বিমান থেকে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ধ্বংস হয়েছে বিমানটি। পুতিন বলেছেন, বিমানটি সিরিয়ার আকাশসীমাতেই ছিল কিন্তু তুরস্ক বলছে, আকাশসীমা লঙ্ঘনের জন্য বিমানটিকে কয়েকবার সতর্ক করা হয়েছে। বিমানটি ভূপাতিত হওয়ার আগেই প্যারাস্যুটের সাহায্যে দুই পাইলট বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন কিন্তু মূল পাইলটকে আকাশেই গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান কো-পাইলট এবং পরে তাকে সিরিয়া ও রাশিয়ার সেনারা উদ্ধার করে।
২৬ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই
�