তুরস্কের হুমকি ‘আগুন নিয়ে খেলবেন না’ পুতিন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার একটি যুদ্ধ বিমানকে তুরস্ক গুলি করে ভূপাতিত করার পর দু’দেশের মধ্যে এখন তীব্র বাকযুদ্ধ চলছে। উভয়পক্ষ পরস্পরকে হুমকি দিচ্ছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন ‘আগুন নিয়ে খেলবেন না।’ বিবিসির এক প্রতিবেদনে এখবর দিয়েছে।
রাশিয়াকে উদ্দেশ্যে করে মি: এরদোয়ান বলেন, ‘আইএস’র বিরুদ্ধে হামলার অজুহাত তুলে সিরিয়াতে বাশার আল আসাদ বিরোধীদের উপর আক্রমণ চালানো ‘আগুন নিয়ে খেলার সামিল।’
মি: এরদোয়ান বলেন, ‘যেদিন ঘটনা ঘটেছিল, সেদিন আমি প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাথে কথা বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি আমাকে এখনো সেটির জবাব দেননি।’
মি: এরদোয়ান আরো বলেন, ‘ফ্রান্সে অনুষ্ঠিতব্য জলবায়ু সম্মেলনের সময় চলমান সংকট নিয়ে কথা বলতে আমি মি: পুতিনের মুখোমুখি হতে চাই।
অন্যদিকে মি: পুতিনের একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলেছেন, ‘মি: এরদোয়ানের সাথে বৈঠক করার আগে তুরস্ককে ক্ষমা চাইতে হবে।’
তবে তুরস্কের দিক থেকে কোন ক্ষমা চাওয়া হবেনা বলেই জানিয়েছেন মি: এরদোয়ান।
তবে তিনি বলেছেন, ‘বিমানটি যে রাশিয়ার ছিল সেটি যদি তুরস্ক জানতো তাহলে সেটিকে হয়তে ভিন্নভাবে সতর্ক বার্তা দেয়া হতো।’
রাশিয়া বলছে এই বিমানটি কোন দেশের সেটি চিহ্নিত করতে না পারার কোন কারণ নেই।
তুরস্ক বলছে রাশিয়ার যুদ্ধ বিমানটি ১৭ সেকেন্ডের জন্য তুরস্কের আকাশ সীমা লঙ্ঘন করেছিল। এই বিষয়টি নিয়ে রাশিয়া মিথ্যা বলছে বলে উল্লেখ করেন মি: এরদোয়ান।
এর আগে তুরস্কের সাথে রাশিয়ার ভিসা মুক্ত যে যাতায়াত ব্যবস্থা চালু ছিল সেটি স্থগিত করেছে মস্কো।
নতুন বছরের শুরু থেকে তুরস্কের সাথে ভিসা মুক্ত যাতায়াত স্থগিত করার ঘোষণা দিয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ বলেছেন তুরস্কের নেতৃত্ব ‘গ্রহণযোগ্য সীমা অতিক্রম করেছে।’
এছাড়া তুরস্কের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। এই দু’টি দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। রাশিয়া হচ্ছে তুরস্কের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার।
এছাড়া তুরস্কের পর্যটন শিল্পে এর বড় প্রভাব রয়েছে। গত বছর ৩০ লাখের বেশি রাশিয়ার নাগরিক পর্যটনের জন্য তুরস্ক ভ্রমণ করেছে।
২৮ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই
�