বুধবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৮, ১১:১৫:০৭

বিক্ষোভে উত্তাল ইসরাইল, জনগণের তোপের মুখে নেতানিয়াহু

বিক্ষোভে উত্তাল ইসরাইল, জনগণের তোপের মুখে নেতানিয়াহু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরাইলকে ইহুদি রাষ্ট্র ঘোষণা দিয়ে দেশটির পার্লামেন্টে পাস করা আইন প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন আরবের বংশোদ্ভূত ইসরাইলিরা। রাজধানী তেল আবিবে জড়ো হয়ে তারা দাবি করেন, সংখ্যালঘুদের একঘরে করতেই ইসরাইলকে ইহুদি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। বর্ণবাদী ও জাতিবিদ্বেষী এ আইন শিগগিরই প্রত্যাহার করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনেরও ঘোষণা দেন তারা।

সংখ্যালঘু দ্রুজ সম্প্রদায়ের পর ইসরাইলকে ইহুদি রাষ্ট্রের স্বীকৃতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন আরব বংশোদ্ভূত ইসরাইলিরা। শনিবার তেলআবিবে লক্ষাধিক আরব ইসরাইলির সাথে ইসরাইলের কয়েকটি গণতান্ত্রিক সংগঠনও বিক্ষোভে অংশ নেয়। পার্লামেন্টের সিদ্ধান্তকে বর্ণবাদী ও জাতিবিদ্ধেষী আখ্যা দিয়ে, তা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

বিক্ষোভকারীরা বলেন, ‘এ আইনের সাথে আমরা একমত নই। নতুন আইন আরবি ভাষা, শান্তি, এবং আমাদের ভবিষ্যত বিরোধী। আমরাই এখানকার স্থায়ী বাসিন্দা। আমরা এ আইন কখনো মানবো না। শুধু আরবদের জন্য নয় সব সংখ্যালঘুর জন্য বিপজ্জনক এ আইন। আরব ইসরাইলিদের জন্য অনেক বড় আঘাত এটি। সরকার সংখ্যালঘুদের একঘরে করার পরিকল্পনার হিসেবে এ আইন পাস করেছে। সামনের দিনগুলোতে আমাদের মতো যারা আছেন তাদের বিরুদ্ধে আরো কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হতে পারে।’

১৯৪৮ সালে আরব যুদ্ধের পরে কয়েক লাখ মানুষকে জোরপূর্বক তাদের জন্মস্থান থেকে উচ্ছেদ করে ইসরাইল। জীবন বাঁচাতে পালিয়ে যান অনেকে। থেকে যাওয়া অনেকে চিহ্নিত হন ফিলিস্তিনি হিসেবে। জনসংখ্যায় তারা ৯০ লাখের মতো। ইসরাইল তাদেরকে সমান অধিকার দেয়ার কথা বললেও অনেকেই অভিযোগ করেন, দেশটির সরকার তাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক এবং দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকের মতো আচরণ করছে। এমন অবস্থায়, ইসরাইলকে ইহুদি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি কোনোভাবে মেনে নিতে পারছেন না তারা। ইহুদি ইসরাইলিরা বলছেন, তাদের মতোই সুযোগ ভোগ করার অধিকার আছে সংখ্যালঘু নাগরিকদের।

গত ১৯শে জুলাই ইসরাইলের পার্লামেন্টে ইহুদি রাষ্ট্রের ঘোষণা দিয়ে একটি আইন পাস করা হয়। ওই আইনে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুসালেমে থাকা ফিলিস্তিনিদের ভূমি অধিগ্রহণে অনুমতির পাশাপাশি আরবিকে ইসরাইলের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষার মর্যাদা বাতিল করা হয়।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে