মঙ্গলবার, ২১ আগস্ট, ২০১৮, ১০:২০:০৮

সিধু শান্তির দূত : প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

সিধু শান্তির দূত : প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইমরান খানের শপথে যোগদান, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রেসিডেন্টের পাশের আসনে বসা এবং পাকিস্তানি সেনাপ্রধানকে আলিঙ্গনের ঘটনায় ভারতের সাবেক ক্রিকেটার নভজ্যোৎ সিংহ সিধুর ওপর চটেছে দেশটির চরমপন্থীরা। সব সমালোচনার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন সিধু। একইসঙ্গে তার পাশে দাঁড়িয়ে শান্তির বাণী শোনালেন পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী ইমরান। তিনি সিধুকে বললেন 'শান্তির দূত'।

ভারত থেকে ইমরান খানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারত থেকে একমাত্র অতিথি হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন সাবেক ক্রিকেটার এবং বর্তমান রাজনীতিক-ধারাভাষ্যকার সিধু। পাকিস্তানে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেলেও দেশে ফিরতেই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া, আলিঙ্গন ও আসন নিয়ে আক্রমণের মুখে পঞ্জাবের মন্ত্রী সিধু। এমনকি তার 'ক্যাপ্টেন' পঞ্চাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংহও প্রকাশ্যেই সিধুর সমালোচনা করেন। মাঠে নেমে পড়ে ক্ষমতাসীন বিজেপিও।

মঙ্গলবার সব বিতর্কের জবাব দিয়ে সিধু বলেন, ইমরান খানের শপথে যোগ দেওয়ার মধ্যে কোনো রাজনীতি নেই। পুরনো বন্ধুর আমন্ত্রণ রক্ষা করতেই তিনি ইসলামাবাদ গিয়েছিলেন। সিধুর দাবি, পাক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়াকে আলিঙ্গন ছিল 'আবেগঘন প্রতিক্রিয়া'।

সিধু যুক্তি দেখিয়ে বলেন, 'সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী বাসে চড়ে লাহোর গিয়েছিলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৫ সালে আফগানিস্তান সফর থেকে ফেরার পথে আচমকা পাকিস্তানে চলে যান তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। তাকে আলিঙ্গনও করেন মোদু। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রশ্ন তোলেননি।'

আসন বিতর্কে সিধুর বলেন, 'আমার বসার বিষয়টি শেষ মুহূর্তে পরিবর্তন করা হয়। অনুষ্ঠান শুরুর ৫ মিনিট আগেই আমাকে জানানো হয়, সামনের সারিতে বসতে হবে। তারা যেখানে আমার বসার ব্যবস্থা করেছেন, সেখানেই বসেছি।'

একই দিনে সিধুর পাশে দাঁড়ালেন ইমরান। সোশ্যাল সাইট টুইটারে তিনি লিখেন, 'নভজ্যোৎ সিং সিধু শান্তির দূত হয়ে এসেছিলেন। এরপরই নয়াদিল্লির সমালোচনা করে পাক প্রধানমন্ত্রী লিখেন, 'ভারতে যারা সিধুর সমালোচনা করছেন, তারা উপমহাদেশে শান্তির বিরোধী।'

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে