‘ভারতে পরমাণু হামলার প্রস্তুতি নিয়েছিল পাকিস্তান’
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ১৯৯৯-তে কার্গিলে যুদ্ধ পরিস্থিতি যখন চরমে এবং পাকিস্তানের অবস্থা সঙ্গীন তখন পরমাণু বোমা ব্যবহারের কথাও ভেবেছিলেন জেনারেল পারভেজ মোশারফ। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনকে এই কথা জানিয়েছিল সিআইএ। বুধবার এই তথ্য প্রকাশ করেছেন এক অবসরপ্রাপ্ত মার্কিন কর্তা।
১৯৯৯-এর ৪ জুলাই গোপনে প্রেসিডেন্টকে দেওয়া এক নোটে এই তথ্য জানিয়েছিল সিআইএ। এরপরই নওয়াজ শরিফের সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল বিল ক্লিন্টনের। ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রবল চাপ আর অনিবার্য হারের মুখে পড়ে যুদ্ধ থামাতে নওয়াজ শরিফ ছুটেছিলেন বিল ক্লিন্টনের কাছে। একটা ফয়সালার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাহায্য চেয়েছিলেন তিনি।
ব্রুস রিডেল, যিনি সেইসময় আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বড় দায়িত্বে ছিলেন তিনি জানিয়েছেন, '৪ জুলাই সকালে গোপনে ক্লিন্টনকে দেওয়া এক রিপোর্টে সিআইএ জানায় পাকিস্তান পরমাণু হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।'
সিআইএ-র প্রাক্তন বিশেষজ্ঞ রিডেল বর্তমানে ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনে কর্মরত। প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ক্লিন্টনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা স্যান্ডি বার্গারের মৃত্যুতে লেখা শোকবার্তায় এই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন তিনি।
রিডেল আরও জানিয়েছেন, স্যান্ডি বার্গার ক্লিন্টনকে শরণাপন্ন শরিফের কথা শুনতে বলেছিলেন, তবে এব্যাপারে কড়া থাকতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। শরিফকে এটা বোঝানোর দরকার ছিল যে, পাকিস্তানের আচরণই পারে এই বিপর্যয় ঠেকাতে। রিডেলের কথায়, বার্গার জানতেন যে, শরিফকে এব্যাপারে ধমকানি দেওয়া ক্লিন্টন ছাড়া আর কারও পক্ষেই মোক্ষমভাবে কাজ দিত না।
অবশেষে ক্লিন্টন-শরিফ বৈঠক সফল হয়। ভারতের অধিকৃত এলাকা থেকে পাকিস্তান তাদের সেনা সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। এর ফল অবশ্য ভুগতে হয়েছিল শরিফকে। মোশারফের তাড়া খেয়ে প্রায় এক দশক সৌদি আরবে নির্বাসিত থাকতে হয়েছিল তাকে। কিন্তু পরমাণু হামলা ও তার প্রত্যুত্তরের হাত থেকে দক্ষিণ এশিয়াকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছিল।
৪, ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমইউ