কেজরিওয়ালকে মুহম্মদ বিন তুঘলক বলে কটাক্ষ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নানা তুঘলকি কর্মকাণ্ডের জন্য ইতিহাসে তিনি 'পাগলা রাজা' নামেই খ্যাত। তিনি হলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ভারতীয় কংগ্রেস এ বার মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকে সেই আসনেই বসাল। তবে কেজরিওয়ালকে 'অপরিণতমনস্ক' বলে উল্লেখ করে, মুহম্মদ বিন তুঘলকের সঙ্গে তার তুলনা টানা হয়েছে। টাইমস অপ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এখবর দিয়েছে।
দিল্লির দূষণ নিয়ন্ত্রণে জোড়-বিজোড়ের যে সমাধানসূত্র কেজরিওয়াল দিয়েছেন, তাতে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ কংগ্রেস। কংগ্রেসের কটাক্ষ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর আচরণ মহম্মদ বিন তুঘলকের মতো। তুঘলক একইসঙ্গে ভারতে লুঠপাট আর ধংসযজ্ঞ চালিয়েছেন। একই রাস্তায় হাঁটছেন কেজিরওয়াল। তার জোড়-বিজোড় সিদ্ধান্তে দিল্লির পরিবহণ ব্যবস্থাটাই ভেঙে পড়বে।
দূষণ নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের ভত্র্সনার পরপরেই শুক্রবার জোড়-বিজোড়ের তত্ত্ব পেশ করেন কেজরিওয়াল। দূষণ নিয়ন্ত্রণে কেজরিওয়ালের সমাধানসূত্র রাজধানীর রাস্তায় একদিন জোড় সংখ্যার নাম্বার প্লেট লাগানো গাড়ি চলবে, অন্য দিন চলবে বিজোড় নাম্বার প্লেটের গাড়ি। অর্থাত্ জোড় ও বিজোড় গাড়ি চলবে ১৫ দিন করে। ১ জানুয়ারি থেকে এই নিয়ম শুধু প্রাইভেট গাড়ির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে, পাবলিক পরিবহণের জন্য নয়।
বিতর্কের সূত্রপাত্ এখানেই। কেজরিওয়ালের এই সমাধানসূত্রের মধ্যে বাস্তবতা দেখছেন না বিরোধীরা। কংগ্রেসের বক্তব্য, কেজরিওয়াল খুবই অদখ্য মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লির পাবলিক পরিবহণের যে ক্ষমতা, তাতে এ ভাবে চলা সম্ভব নয় বলেই মনে করছে কংগ্রেস নেতা প্রমোদ তিওয়ারি। তিনি বলেন, পাবলিক পরিবহণের জন্য যথেষ্ট গাড়ি আছে কি না, কেজরিওয়ালের আগে দেখা উচিত ছিল। সেসব না দেখেই তিনি তড়িঘড়ি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এটাকে সস্তার পাবলিসিটি বলেও কটাক্ষ করেছেন প্রমোদ। তিনি বলেন, কেজরিওয়াল আসলে শিলা দীক্ষিত যা করে গিয়েছেন, সেই সিস্টেমটাকেই ঘেঁটে দিচ্ছেন। বিষয়টি লোকসভায় উত্থাপন করা হবে বলেও জানিয়েছেন দিল্লির এই কংগ্রেস নেতা।
দিল্লির মুখ্যসচিব কেকে শর্মাকে পর্যাপ্ত পাবলিক ট্রান্সপোর্ট রয়েছে কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, সমস্যার কথা মাথায় রেখে রাস্তায় অতিরিক্ত DTC বাস নামানো হবে। দিল্লি মেট্রো যাতে অতিরিক্ত ট্রেন চালায়, সে বিষয়েও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবে সরকার।
৫ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই
�