বুধবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৮, ০৪:৩৭:০৯

খাসোগি হত্যাকাণ্ড ৭ মিনিটে, জীবিত থাকতেই করা হয় টুকরো!

খাসোগি হত্যাকাণ্ড ৭ মিনিটে, জীবিত থাকতেই করা হয় টুকরো!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিখ্যাত সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডটি সাত মিনিটে সম্পন্ন হয়েছে এবং তাকে জীবিত থাকাবস্থায়ই কেটে টুকরো টুকরো করা হয়। তুর্কি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে এ কথা জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক অনলাইন সংবাদ মাধ্যম মিডলইস্ট আই।

অনলাইনটি বলছে, খাসোগি হত্যাকাণ্ডের সময় রেকর্ডকৃত অডিও সম্পূর্ণ শুনেছেন এমন একজন সূত্র তাদের এ তথ্য জানিয়েছে।

সূত্রে প্রকাশ, খাসোগিকে ইস্তাম্বুলের সৌদি দূতাবাসের কনসুল জেনারেলের অফিস থেকে টেনেহিঁচড়ে পরবর্তী আরেকটি রুমের একটি টেবিলে নেয়া হয়। ভবনটির নিচে থাকা লোকজন এ সময় তার কান্না শুনতে পান।

‘তাকে (খাসোগিকে) জিজ্ঞাসাবাদের কোনো উদ্যোগ ছিল না, বরং তাকে হত্যা করতেই তারা এসেছিল’, জানায় সূত্রটি।

উল্লেখ্য, খাসোগিকে হত্যা করতে ১৫ জন সেদিন সৌদি দূতাবাসে এসেছিল বলে বিভিন্ন সূত্রে খবর বেরিয়েছে। তাদের একজন সালাহ মুহাম্মদ আল তুবাইগি বলে চিহ্নিত করা গেছে, যিনি সৌদি নিরাপত্তা বিভাগের ফরেনসিক প্রধান। এদিন তারা একটি প্রাইভেট বিমানে করে আঙ্কারায় এসে নামেন।

খাসোগি ২ অক্টোবর প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্রের জন্য তুরস্কের সৌদি দূতাবাসে যান। সেদিনই ওই ব্যক্তিরাও সেখানে প্রবেশ করেন।

সূত্রটি আরো জানিয়েছে, কান্না থামাতে খাসোগিকে ইনজেকশন দেয়া হয়। এরপর তিনি নিরব হয়ে যান।

খাসোগি জীবিত থাকতেই তার দেহ কেটে টুকরো করতে থাকেন তুবাইগি। এ হত্যাকাণ্ডটি সময় নেয় মাত্র সাত মিনিট।

তুবাইগি যখন দেহটি কাটছিলেন তখন তিনি মিউজিক শুনছিলেন। তখন দলের অন্য সদস্যদেরও তিনি তখন গান শুনতে বলেন।

‘আমি যখন এ কাজ করি তখন আমি গান শুনি। আপনারাও এটা করতে পারেন’, তুবাইগির এ কথাগুলোও রেকর্ড পাওয়া গেছে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।

তিন মিনিটের এ কথোপকথনের অডিওটি তুরস্কের সংবাদপত্র ডেইলি সাবাহকে দেয়া হলেও তারা এখনো তা প্রকাশ করেনি বলে সূত্রের দাবি।

২০০৪ সালে লন্ডনভিত্তিক সৌদি সংবাদপত্র আশারাক আল-আউসাতকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তুবাইগি একটি মোবাইল ক্লিনিকের কথা জানিয়েছিলেন যেখানে হজ করতে এসে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের কিভাবে ৭ মিনিটে ময়না তদন্ত সম্পন্ন করা হয়।

সংবাদপত্রটি জানিয়েছিল, ওই ক্লিনিকটি মূলত তুবাইগির ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয় এবং এটি সাধারণত অপরাধমূলক স্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ময়না তদন্ত করে থাকে।

গত ২ অক্টোবর দূতাবাসটিতে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন খাসোগি। কিন্তু দূতাবাস থেকে জানানো হয় তিনি প্রবেশের কিছুক্ষণ পরই বের হয়ে গেছেন। অবশ্য তারা এর সপক্ষে তেমন কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি। তারা বলছে সে সময় সিটিটিভি ক্যামেরাগুলো কাজ করছিল না।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে