নরেন্দ্র মোদির বিশ্ব রেকর্ড
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এক অনন্য রেকর্ডের জন্য ‘গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড’এর পক্ষ থকে ‘গিনেস সার্টিফিকেট’ প্রদান করা হলো। মোদিকে এই সাটিফিকেটটি সরকার পরিচালনা বা অন্য কোন বিশেষ কাজের জন্য দেয়া হয় নি। শুধুমাত্র রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি দিয়েই বিশ্ব রেকর্ডের খাতায় নাম লেখালেন তিনি। ‘গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডে’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত এক বছরে রান্নার গ্যাসের জন্য ভুর্তুকি হিসেবে যে পরিমাণ টাকা ভারতে ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে, তা বিশ্বের আর কোথাও হয়নি। এই বিপুল পরিমাণ টাকা লেনদেনের জন্যই ‘গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড’-এ নাম উঠল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। কেন্দ্রীয় জালানী বিষয়ক মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানই ‘গিনেস সার্টিফিকেট’ তুলে দিলেন নরেন্দ্র মোদির হাতে। কলকাতা ২৪-এর এক প্রতিবেদনে এখবর প্রকাশিত হয়।
বর্তমানে নরেন্দ্র মোদির ‘প্যাহাল’ প্রকল্পের অধীনে দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি পান। ভর্তুকির টাকা নরেন্দ্র মোদির সরকার সরাসরি গৃহস্থদের ব্যাংকে অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেন। এর ফলে সরকারের সঙ্গে গৃহস্থদের ব্যাংকিং লেনদেন বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে। গিনেস সূত্রের খবর, গত সাত মাসে কেবল রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি হিসাবে ১২ কোটি ৫৭ গৃহস্থ ব্যাংক মারফত লেনদেন করেছেন। যা বিশ্বের কোথাও হয়নি। তাই এই প্রকল্প-প্রণেতা নরেন্দ্র মোদিকে বিশ্বরেকর্ডের সার্র্টিফিকেট দিল ‘গিনেস বুক’।
জানা যায়, মনমোহন সিংয়ের সরকার দরিদ্রদের রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। গৃহস্থদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরকার সরাসরি ভর্তুকি দেবে বলে স্থির হয়েছিল। ২০১৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে প্রকল্পটি চালু হয়। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতার কারণে মনমোহন সরকারের মাঝপথেই এটি বন্ধ হয়ে যায়। তারপর নরেন্দ্র মোদি সরকারে আসার পর ‘প্যাহাল’ নাম দিয়ে ফের এই প্রকল্পটি চালু করেন। ২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর প্রথমে ৫৪টি জেলায় ‘প্যাহাল’ চালু হয়। তারপর চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে এটি চালু করা হয়। রান্নার গ্যাস কেনার সঙ্গে সঙ্গেই তার ভর্তুকির টাকা গৃহস্থের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মোদি সরকার সরাসরি প্রদান করেন। তারপর সেই টাকা তুলে নেন গৃহস্থ। এভাবে গত ৩০ জুন পর্যন্ত কেবল ‘প্যাহাল’ প্রকল্পের অধীনে ১২ কোটি ৫৭ লক্ষ গৃহস্থ ব্যাংকিং লেনদেন করেছেন। এছাড়া চলতি মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন ১৪ কোটি ৬২ লক্ষ মানুষ। এছাড়া ‘প্যাহাল’ প্রকল্প চালু হয়ে ৩ কোটি ৩৪ লক্ষ মানুষের ভুয়ো অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে।
৬ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই
�