সোমবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৮, ০১:০৬:২৪

এরদোগান আসলে কী চান সৌদি আরবের কাছে?

এরদোগান আসলে কী চান সৌদি আরবের কাছে?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্কে সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাসোগি নিহত হবার ঘটনায় তুরস্ক ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্কে টানাপড়েনের সৃষ্টি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বাস্তবে আসলে তাদের মধ্যে কী ঘটছে তা পরিষ্কার নয়।

বিবিসির প্রতিরক্ষা ও কূটনীতি বিষয়ক সংবাদদাতা জনাথন মার্কাস বলেন, জামাল খাসোগিকে ঠিক কীভাবে হত্যা করা হয়েছে এবং পরে তার মৃতদেহ কোথায় ও কীভাবে গুম করা হয়েছে- যখন এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হচ্ছে, তখন যে প্রশ্নটি সবার আগে সামনে এসে দাঁড়াচ্ছে, তা হলো কে তাকে হত্যার আদেশ দিয়েছিলেন। হয়তো এই প্রশ্নের উত্তর কোনদিনই পাওয়া যাবে না।

তবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তার ভাষায় 'নগ্ন সত্য' প্রকাশ করার ঘোষণা দিলেও কার্যত তিনি নতুন কোনো তথ্য প্রকাশ করেননি। বরং তিনি সৌদি বাদশাহর প্রশংসা করেছেন।

অন্যদিকে তুর্কি মিডিয়াগুলো আকার-ইঙ্গিতে সৌদি যুবরাজকে দোষারোপ করে নানা সংবাদ প্রকাশ করছে। সৌদি যুবরাজকে যথাসম্ভব চাপে রাখা এবং বাদশাহর সঙ্গে যুবরাজের দূরত্ব সৃষ্টি করার জন্য তুরস্ক এ কৌশলে হাটছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সাংবাদিক জনাথন মার্কাস বলেন, তুর্কী প্রেসিডেন্ট এরদোগান সৌদি যুবরাজের সাথে অনেকটা ইঁদুর-বিড়ালের মতো খেলছেন। এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে লোকজনকে তিনি যা বলছেন, মনে হচ্ছে তিনি তার চাইতেও বেশি জানেন। কিন্তু কতোটা বেশি জানেন ও কী জানেন সেটা এখনও পরিষ্কার নয়।

জনাথন মনে করেন, প্রেসিডেন্ট এরদোগান আইনগত সব ধরনের ব্যবস্থাই তারা নিচ্ছেন বলে ঘোষণা করেছেন। কিন্তু তিনি নাটকীয়তাও ধরে রেখেছেন। কারণ তিনি চান এমবিএসকে (সৌদি যুবরাজ) যতোটা সম্ভব চাপের মধ্যে রাখা।

খাসোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা একদিকে তুরস্কের ভেতরে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে আবার একই সঙ্গে ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার জন্যেও এটি একটি সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে।

এরদোগান যদি সৌদি আরবের ওপর এই চাপকে দক্ষতার সাথে কাজে লাগাতে পারেন এবং সময় মতো সেটা ব্যবহার করেন তাহলে তিনি হয়তো সৌদি আরব থেকে আরো বেশি বিনিয়োগ অথবা অর্থনৈতিক সাহায্য আদায় করে নিতে পারবেন যা তুরস্কের অর্থনীতিকে চাঙা করবে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে